যশোর সদর-৩ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নির্বাচনী গণসংযোগে আবারও বোমা হামলা ও গুলি চালানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যশোর শহরের গোহাটা রোডস্থ সিটি প্লাজা এলাকায় এই হামলা চালানো হয়। চিহ্নিত ক্যাডাররা এই হামলা চালিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপির নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন। তবে হামলায় কেউ হতাহত হয়নি। অনিন্দ্য ইসলাম অমিত সুস্থ আছেন বলে জানান দলের নেতৃবৃন্দ।
বিএনপি নেতৃবৃন্দ জানান, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত কর্মীবহর নিয়ে বড়বাজারে দোকানে দোকানে ভোট প্রার্থনা করতে যান। এক পর্যায়ে তিনি সিটি প্লাজা এলাকায় ক্যাম্পেইন করার সময় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের নেতৃত্বে একটি সশস্ত্র গ্রুপ এসে পরপর দুটি বোমা নিক্ষেপ করে। বোমা দুটি বিকট শব্দে বিষ্ফোরিত হয়। এ সময় জনতা ‘ধর ধর’ বলে ধাওয়া করলে তারা দুই রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এ সময় ধানের শীষের প্রার্থী অমিত জনগণ ও তার কর্মীদের উত্তেজিত না হয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। কোতয়ালী থানা থেকে মাত্র ৩ শ’ গজের মধ্যে শহরের প্রাণকেন্দ্রে প্রকাশ্যে এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে এই হামলায় বাঁধনের পাশাপাশি বিল্লাল ও আবু তালেবকে লোকজন চিনতে পেরেছেন।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে শহরের পূর্ব বারান্দীপাড়ার কদমতলা, মুড়লী জোড়া মন্দির এলাকা ও শহরতলীর ধর্মতলা এলাকায় অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের ওপর ৩ দফা হামলা চালানো হয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা অমিতকে ছুরিকাঘাত ও বোমা হামলার মাধ্যমে হত্যার চেষ্টা চালায়। তবে ভাগ্যক্রমে ও জনতার প্রতিরোধে তিনি প্রাণে বেঁচে যান।
একই সময় শহরতলীর আরবপুর ইউনিয়নের মন্ডলগাতি ও নিমতলীতে বিএনপির নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে সন্ত্রাসীরা। বিএনপি নেতৃবৃন্দ জানান, এসব বিষয়ে তারা কোতয়ালী পুলিশকে অবহিত করেছেন। নেতৃবৃন্দ জানান, একের পর এক ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো প্রায় প্রতিদিনই জেলার রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত কোথাও সন্ত্রাসী তৎপরতা থামেনি এবং কাউকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায়নি। যে কারণে সন্ত্রাসীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।