আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ৩:৪২

আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আল মাহমুদ স্বপনের মানবিক চাঁদাবাজি!

আওয়ামী লীগের প্রাণশক্তি তৃণমূলের কষ্টে থাকা সোনার মানুষদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন  আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। লক্ষ্মীপুরে সাংগঠনিক সফরে গিয়ে একজন রিকশা চালক প্রয়াত আওয়ামীলীগ কর্মীর পরিবারের হাতে নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা তুলে দিয়েছেন তিনি। নিজের পকেট থেকে দশ হাজার টাকা দেওয়ার পর তিনি বাকি চল্লিশ হাজার টাকার জোগাড় করেছেন অনেকটাই মানবিক চাদাবাজি করে।
পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এরই মধ্যে একটি ফেসবুক পোস্ট করেছেন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। তিনি লিখেছেন “ আমরা লক্ষ্মীপুরে সাংগঠনিক সফরে। দুপুরে রামগতি উপজেলার শেখের কেল্লা এলাকায় অবস্থিত নবনির্মিত অসাধারন স্থাপত্যশৈলী সম্পন্ন আস-সালাম জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করতে যাই।
পথিমধ্যে একটি সেতু পার হওয়ার সময় লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম ফারুক পিংকু সাহেব জানালেন, এই এলাকার একজন রিক্সাচালক আওয়ামী লীগার গত মঙ্গলবার মৃত্যুবরণ করেছেন।
জনাব ফয়েজ আহমেদ পেশায় একজন রিক্সাচালক ছিলেন। সারাদিন শরীরের বিন্দু বিন্দু ঘাম ঝড়িয়ে যেটুকু উপার্জন করতেন, তার একটি অংশ দিয়ে তিনি সন্ধ্যায় এলাকার লোকজনকে চা খাওয়াতেন এবং বঙ্গবন্ধু ও নেত্রীর গল্প শুনাতেন। মানুষকে সংগঠিত করতেন। নিজে রিক্সা চালিয়ে অন্যদের আওয়ামী লীগের মিটিং নিয়ে যেতেন।
তাঁর স্বপ্ন ছিল, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার দেখে যেতে চান। তিনি বলতেন, তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার দেখেছেন, তার জীবনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
নামাজ শেষে প্রয়াত ফয়েজ আহমেদ সাহেবের কবর জেয়ারত করলাম। কবর জেয়ারতের আগেই জেলা নেতৃবৃন্দকে পরিবারের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি সাহায্যের দরখাস্ত দিতে বলেছিলাম।
জেয়ারতের পর তার বাড়িতে যাওয়ার সময় হঠাৎই মনে হল, নেত্রীতো দেবেনই, আমরাও তো সামান্য পারি।
লজ্জা ভেঙ্গে চাঁদাবাজি করলাম। সফরে আছি, পকেট বেশী সমৃদ্ধ না। পকেট থেকে সামান্য দশ হাজার বের করে, জেলা সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম ফারুক পিংকু এবং সাধারন সম্পাদক এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি’ র নিকট দশ হাজার টাকা চাইলাম, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র জনাব মোজাম্মেল হায়দার মোল্লা মাসুমকে বললাম, আমাকে বিশ হাজার টাকা দাও। তারা তিন জন সঙ্গে সঙ্গে দিলেন। হয়ে গেল পঞ্চাশ হাজার।
প্রকাশ্য দিবালোকে গ্রামের মানুষ জনের সামনে চাঁদাবাজি করে সেই টাকা প্রয়াত ফয়েজ ভাইয়ের স্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
চাঁদাবাজি ভাল কাজ নয়, জানি। এরপরও করেছি। আমার খুব ভাল লাগছে যে, আজ একটি ভাল কাজ করেছি। আইনের দৃষ্টিতে মন্দ কাজ, কিন্তু মানবিকতার দিক থেকে ভাল কাজ।
নিজের ঢোল পেটানোও ভাল কাজ নয়। তবুও করলাম, হয়ত অনেকে হাসবেন, টিপ্পনী কাটবেন। তবুও একটি আহ্বান জানানোর জন্য প্রচার করছি।
রাব্বুল আ’লামীন আমাদের যাদের কিছুটা সামর্থ্য দিয়েছেন, আসুন আমরা আওয়ামী লীগের প্রাণশক্তি তৃণমূলের কষ্টে থাকা সোনার মানুষদের পাশে যৌথভাবে সাধ্যমত দাঁড়াই।”

আরো সংবাদ