আজ - বৃহস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৭:৫০

আজও বিচারের আশায় ফেলানির আত্মা : হত্যার ৯ বছর ।

ন্যাশনাল ডেস্ক : ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে ১৪ বছরের কিশোরী ফেলানি উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়। ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও বিচার না পাওয়ায় হতাশ তার পরিবার। এখনো ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায় দিন গুনছে ফেলানির স্বজনরা।

সেদিন ভোর ৬টার দিকে ফুলবাড়ীর অনন্তপুর সীমান্ত পাড়ি দিয়ে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নিহত হয় ফেলানি। সাড়ে চার ঘণ্টা ফেলানির দেহ কাঁটাতারের ওপর ঝুলে থাকার পর লাশ নিয়ে যায় বিএসএফ।

এ ঘটনায় বিশ্বজুড়ে তোলপাড় শুরু হলে মৃত্যুর ৩০ ঘণ্টা পর ৮ জানুয়ারি লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ। এ ঘটনায় গণমাধ্যমসহ বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত।

এর দুই বছর পর মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অব্যাহত চাপের মুখে ভারত ফেলানি হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু করে। ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারে জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে শুরু হয় বিচার।

একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আসামি অমিয় ঘোষকে খালাস দেন বিএসএফের বিশেষ কোর্ট। পুনর্বিচারে ২০১৫ সালের ২ জুলাই একই আদালত ফের আসামি অমিয় ঘোষকে খালাস দেন।

২০১৫ সালের ১৩ জুলাই ভারতীয় মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম) ফেলানি হত্যার বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে রিট করেন। ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর শুনানির পর ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে বারবার তারিখ পিছিয়ে যায়। ফলে থমকে গেছে ফেলানি হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবি।

আরো সংবাদ