ক্যাম্পাস প্রতিবেদক :: শাহবাগ থানা থেকে ছাড়া পেয়েছেন শিবির সন্দেহে মারধরের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যোলয়ে (ঢাবি) চার শিক্ষার্থী। বুধবার বিকেল ৩টার দিকে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে পুলিশ। দুপুরে ওই শিক্ষার্থীদের ছাড়াতে থানায় যান ডাকসু ভিপি নুরুল হক।
ছাত্রলীগের নির্যাতনে নিহত আবরারের মতো হাতুড়ি, তার ও স্যান্ডেল দিয়ে মারধরের বর্ণনা দেন ভুক্তভোগী মো. মুকিম চৌধুরী। থানা থেকে ছাড়া পেয়ে ওই শিক্ষার্থী গণমাধ্যমকে ছাত্রলীগ নেতাদের মারধরের এসব নির্মম বর্ণনা দেন।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে নির্যাতনের পরে মুকিমসহ ৪ শিক্ষার্থীকে পুলিশ হেফাজতে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। রাত ১১টার দিকে জুহুরুল হক হলের গেস্টরুম শেষে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে ছাত্রলীগের নিয়মিত গেস্টরুম চলছিল। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মুকিম চৌধুরীকে শিবির সন্দেহে গেস্টরুমে ডাকা হয়।
সেখানে হল শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা তাদের অনুসারীদের দিয়ে মুকিমকে প্রথমে মানসিক চাপ দেয়। এতে স্বীকার না করায় তাকে লাঠি, স্টাম্প ও রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করতে থাকে।
পরে তার ফোনের চ্যাটলিস্ট দেখে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সানওয়ার হোসেনকে গেস্টরুমে আনা হয়। সেখানে তাকেও বেধড়ক মারধর করে ছাত্রলীগের নেতারা। মারধর সহ্য করতে না পেরে তারা উভয়েই মেঝেতে বসে ও শুয়ে পড়ে।
এর কিছুক্ষণ পরে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মিনহাজ উদ্দীন ও একই বর্ষের আরবী বিভাগের শিক্ষার্থী আফসার উদ্দীনকে ধরে গেস্টরুমে আনা হয়। সেখানে রাত ২টা পর্যন্ত তাদের ওপর বিভিন্ন নির্যাতন করতে থাকে ছাত্রলীগ নেতারা। পরে তাদেরকে প্রক্টরিয়াল টিমের মাধ্যমে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়।