আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ৮:০৫

আলোচিত কায়েম আলী হত্যার রহস্য উদঘাটন-গ্রেফতার-২ মটর সাইকেল উদ্ধার

আলোচিত কায়েম আলীর গলাকেটে হত্যার (ক্লুলেস) ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার মূল রহস্য এবং মোটিভ উদঘাটন, ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত আসামি অন্তর এবং রায়হানকে গ্রেফতার, হত্যা কাজে ব্যবহৃত চাকু, ভিকটিমের মটরসাইকেল এবং মোবাইল জব্দ করেছে পুলিশ।

সোমবার সকাল ০৭:৩০ ঘটিকায় চৌগাছা থানাধীন সৈয়দপুর সাকিনস্থ সৈয়দপুর টু সাতমাইলগামী পাকা সড়কের আরিফুল ইসলামের জমির দক্ষিণ পাশে পাকা রাস্তার ধারে আতা গাছের গোড়ায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির গলাকাটা লাশ পাওয়ার সংবাদ পেয়ে চৌগাছা থানা পুলিশ লাশটিকে উদ্ধার করে এবং পরিচয় সনাক্ত করে। নিহতের নাম কায়েম আলী (৫৫) পিতা-মৃত ইসমাইল তরফদার সাং কাদিরপাড়া, থানা-কোতোয়ালি জেলা-যশোর। নিহতের স্ত্রী মমতাজ বেগম অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করলে চৌগাছা থানার মামলা নং- ১০
হত্যার ঘটনাটি ক্লুলেস এবং চাঞ্চল্যকর হওয়ায় যশোর জেলার পুলিশ সুপার জনাব প্রলয় কুমার জেয়ারদার, দ্রুত ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য কঠোর দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

যশোর জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার’র দিক-নির্দেশনায় যশোর ক-সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব বেলাল হোসেন এর তত্ত্বাবধানে ওসি চৌগাছা থানা জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম সবুজ এর নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর ( তদন্ত) জনাব ইয়াসিন আলম চৌধুরী এবং সাব-ইন্সপেক্টর বিকাশ সরকার সঙ্গীয় ফোর্স এর সহায়তায় লাশ প্রাপ্তির ১২ ঘণ্টার মধ্যে মামলার রহস্য উদঘাটন পূর্বক আসামি গ্রেফতারের অভিযান শুরু করে। যশোর পুলিশ সুপার এর অনুমতিক্রমে ঝিনাইদহ জেলা এবং মাগুরা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে সোমবার দিবাগত রাতে তদন্তে প্রাপ্ত অভিযুক্ত প্রধান আসামি অন্তর হোসেন (২২) এবং রাহিন মন্ডল রায়হান(২২) কে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদ্বয় হত্যার দায় স্বীকার করে এবং তাদের দেওয়া তথ্য মতে হত্যার ব্যবহৃত একটি ধারালো বার্মিজ চাকু এবং ভিকটিমের নিকট থেকে নেয়া মটরসাইকেল ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে । আসামিদের আদালতে তাদের নিজেদের হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

আরো সংবাদ