আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১২:২৯

ইউএনওর বাসায় হামলা: বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি বরিশাল আ.লীগের

বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে বুধবার রাতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। একই সঙ্গে নেতাকর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ ও হামলার অভিযোগ তুলেছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে নগরীর কালীবাড়ি রোডের সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন শাখার কর্মীরা বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ব্যানার-পোস্টার অপসারণ করতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়েছিলেন। এ সময় ইউএনও মুনিবুর রহমান বেরিয়ে এসে দম্ভোক্তি দেখিয়ে তাদের এ কাজে বাধা দেন। খবর পেয়ে মেয়রের নির্দেশে সেখানে যান মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু।

ইউএনও তাদের সঙ্গে অশালীন ভাষা ব্যবহার করেন, এক পর্যায়ে আনসার সদস্যদের কাছ থেকে অস্ত্র নিয়ে তিনি নিজেই গুলি করেন। তারা আরও বলেন, হাসান মাহমুদ বাবুকে ইউএনও টেনে-হেঁচড়ে তার বাসভবনের মধ্যে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজের পরিচয় দেয়ার পরও আনসার সদস্যরা গুলি করতে থাকে। পরে পুলিশ এসেও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বেধড়ক পেটায়। এতে ৬০ জনের বেশি নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ এবং লাঠিচার্জে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।

পুলিশ হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকে অবস্থান নেওয়ায় আহতরা আত্মগোপনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মিথ্যা দুটি মামলা দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে বাসায় বাসায় অভিযান চালানো হচ্ছে। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার, গ্রেফতারদের নিঃশর্ত মুক্তি ও আহত নেতাকর্মীদের চিকিৎসার দাবিও জানান নেতারা।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, শোকের আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর এমন হামলা গভীর ষড়ষন্ত্র মনে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

গ্রেফতার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মুক্তি ও দুই মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর বলেন, বরিশাল শান্তির নগরী। এ নগরীকে অশান্ত করতে দেওয়া হবে না। কারও রক্তচক্ষুকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভয় পায় না। তিনি পুলিশ দিয়ে মেয়রের বাসভবন ঘেরাও করার নিন্দা জানান।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত