আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সন্ধ্যা ৭:৫৯

ইলিশ কিনতে খুলনার বাজারে উপচেপড়া ভিড়

রাত পার হলেই ২২ দিনের জন্য রূপালী ইলিশ আহরণ, বাজারজাতকরণ, মজুদ ও বিক্রি নিষিদ্ধ। তাই খুলনার বাজারে ইলিশ কিনতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ভোজন রসিকরা পছন্দমত একটু বেশি করেই কিনছেন ইলিশ। 

রোববার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকেই খুলনা নগরীতে মুষলধারে বৃষ্টি ও বজ্রপাত হওয়ায় শহরে লোকজনের চলাচল অনেকটাই কমে যায়। কিন্তু বৃষ্টি থামতেই হঠাৎ করে নগরীর জোড়াকল বাজার ও সান্ধ্য বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সবাই যেনো ইলিশ কিনতে এসেছেন। আর মাছ ব্যবসায়ীরাও মাইক লাগিয়ে ঘোষণা দিয়ে বিক্রি করছেন ইলিশ। এসব বাজারে ইলিশের সরবরাহও ছিল বেশ। 

নড়াইল কলেজের শিক্ষক সোহেলী শাহরিয়ার দুই জোড়া ইলিশ (৭ কেজি) ক্রয় করেছেন ১১ হাজার ৪০০ টাকায়। অর্থাৎ সাড়ে তিন কেজি ওজনের এক জোড়ার দাম নিয়েছে ৫ হাজার ৭০০ টাকা। যা ছিল সান্ধ্য বাজারের সবচেয়ে বড় মাছ। মাছ গুলো দেখে পছন্দ হওয়ায় তিনি কিনে নেন। সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন।

ক্রেতা ‘সোহেলী শাহরিয়ার বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে এরকম বড় ইলিশ সাধারণত বাজারে পাওয়া যায় না, তাই সুযোগ হাত ছাড়া করিনি। ’

এদিকে, নগরীর জোড়াকল বাজারের মাছ ব্যবসায়ীদের মাইক লাগিয়ে ঘোষণা দিয়ে ইলিশ বিক্রি করতে দেখা যায়। এখানে ছোট সাইজের ইলিশ ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা হাকাতে শোনা যায় ব্যবসায়ীদের। 

সান্ধ্য বাজারের মাছ বিক্রেতা মুরাদ হোসেন গাজী জানান, রাত ১২ টা পর্যন্ত সময় আছে। সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টি হচ্ছে।  যদি ক্রেতা তেমন না আসে তাহলে মাছগুলো এক প্রকার লসে বিক্রি করতে হবে। 

তিনি আরও জানান, তিনি চারমণ ইলিশ কিনেছেন। রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত ইলিশ বিক্রির শেষ সময়। গত বছরের এই দিনে প্রচুর মাছ বিক্রয় করেছেন। এ বছর ভারতে মাছ রপ্তানির কারণে তেমন ক্রয় করতে পারেননি। মাছের সরবরাহ তেমন একটা নেই। যা আছে তাও বেশি দাম। ইলিশ মাছের দাম স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ায় অনেকেই দাম শুনে চলে যাচ্ছেন। 

মো. শহিদুল ইসলাম নামে এক বিক্রেতা জানান, আজ প্রায় পৌনে চার লাখ টাকার মাছ বাজারে এনেছেন তিনি। দাম সহনীয় হলে অনেকে নিয়ে যেত। ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ ৯০০ টাকা, ৮০০ গ্রাম সাইজ ১ হাজার ১০০ টাকা, পৌনে দু’কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৯০০  থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে তার দোকানে। 

মাছ বিক্রেতা মো. পান্না জানান, প্রতিবেশী দেশ ভারতে ইলিশ মাছে সয়লাব, আর দেশের মানুষ মাছ কিনতে পারছে না। দাম বেশি হওয়ায় অনেকে বড় মাছ ক্রয় করতে না পেরে ছোট সাইজের মাছ নিচ্ছেন। অনেকের বড় সাইজের মাছ ধরা রয়েছে। যাদের আয় বেশি তারা বড় মাছ কিনছেন। আবার অনেকে মাছের দাম শুনে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন।

নগরীর মিস্ত্রিপাড়া বাজারের বিক্রেতা মৃত্যুঞ্জয় বলেন, আধা কেজি ও ৩০০ গ্রাম সাইজের প্রায় ২ মণ ইলিশ মাছ বাজারে এনেছিলেন। কিন্তু দাম দরে না মেলায় তার আধা মণ মাছ বিক্রি হয়নি। ২২ দিন বিক্রি করতে পারবেন না জেনে বরফ দিয়ে তা সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করেছেন।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত