আজ - রবিবার, ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৭:০২

একজন বঙ্গবন্ধু সৈনিকের আত্মকথা – একজন কামালের গল্প!

  • শেখ হাসিনার পিছে নিভৃতচারী

পাঠকের কলাম: সেদিন ছিল ২৬ শে জানুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সফর।খুলনা বিভাগের নড়াইল জেলার কর্মীসভা চলছে। জনসভায় আগত অতিথিরা বক্তৃতা করছেন;ঝাকে ঝাকে মিছিল আসছে।মুহুর্মুহু শ্লোগান চলছে। 
একজন সৃজনশীল বক্তা প্রিয় নেতৃত্ব জননেতা এস এম কামাল ভায়ের নাম ঘোষণা হবে এমন সময় কজন বঙ্গবন্ধুর কর্মীরা আস্তে আস্তে আলোচনা করছেন এই এবার কামাল ভাই বক্তৃতা করবে সবাই চুপ কর।
বক্তৃতা শুরু হল। কোলাহল, শ্লোগান, চিৎকার সব একদম নিরব।  সবাই চুপ হয়ে গেলেন। 

যতক্ষণ তিনি বক্তৃতা করলেন ততোক্ষণ জনতা শুনশান নিরবতা পালন করলেন। শুধু মাঝে মাঝে যখন আমাদের সমৃদ্ধির প্রতিক জননেত্রীর উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরছিলেন তখন জনতা করতালি ও জয়বাংলা বলে আওয়াজ তুলছিলেন।
বক্তৃতা করেন।বঙ্গবন্ধু মুজিব কে শ্রদ্ধা নিবেদন করে শুরু করেন।বঙ্গবন্ধুর আদর্শ দিয়ে শক্তি সঞ্চার করেন। এরপর দেশরত্ন শেখ হাসিনার দুঃসময়ের সাহসিক পথ চলা তার দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব, তার সময়ের উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও সফলতা তুলে ধরেন। আগামীর বাংলাদেশের চিত্র কিরুপ হবে তার রুপরেখা তুলে ধরেন  পরিশেষে প্রাণভরে সৃষ্টিকর্তার নিকট দোয়া প্রার্থনা করেন। 

হে আল্লাহ্‌ আমাদের আশা আকাঙ্ক্ষার শেষ আশ্রয় স্থল প্রিয় নেত্রীতে আপনি আপনার রহমত দ্বারা হিফাজত করুণ। 
এভাবেই প্রিয় কামাল ভাই (এস এম কামাল হুসাইন) দক্ষিণ বঙ্গের প্রতিটি থানা, উপজেলা,পৌরসভা, জেলা,মহানগর সহ অনেক ইউনিয়ন পর্যায়েও তৃণমূল নেতা কর্মীদের ডাকে ছুটে চলেন।  সংগঠন কে শক্তিশালী করতে, শেখ হাসিনার বার্তা জনগনের দোড়গোড়ায় পৌছে দিতে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে বেড়ান। 

একজন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সদস্য হিসাবে এত বেশী রাজনৈতিক সাংগঠনিক সফর আর কেউ করে বলে জানি না। আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের যে কোন প্রোগ্রামে যখন সংগঠনের অনুসারীরা ভাই প্রীতি শ্লোগান দেন তখন মাইক হাতে চিৎকার দিয়ে তা বন্ধ করেন সবিনয়ে।  এরপর বিনম্র সুরে জোর গলায় শ্লোগান হবে বঙ্গবন্ধু ও দেশরত্ন শেখ হাসিনার নামে। কোন ভাইয়ের নামে শ্লোগান হবে না। দেশরত্ন শেখ হাসিনা যখন যেখানে সফরে যান তখন তিনি এক সপ্তাহ বা তিন চারদিন আগে সেই সমাবেশ এলাকায় গিয়ে নিভৃতে নিরবে দায়িত্ব পালন করেন। আওয়ামীলীগ সহ প্রতিটি মুবিজ প্রেমী সংগঠন কে ডেকে একত্রিত করেন,সবাই কে এক হয়ে এক সাথে সমাবেশ যাতে সফল ও জনকল্যাণ মুখি হয় সেই লক্ষে নিরলস কাজ করে যান। নেত্রী যখন সভামঞ্চে প্রবেশ করেন তখন তিনি মাইক হাতে 

সেই দীপ্ত কণ্ঠে জোর গলায় এই নেত্রী কি আছে—–? 

মানবতার নেত্রী আছে—? 

উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির নেত্রী আছে—? 

বিশ্বরাজনীতির রোল মডেল আছে—? 

আছে —–; 

শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা,শেখ হাসিনা। 
এভাবে এখনো সেই ছাত্ররাজনীতির সময়ের মতন এখন দরাজ কণ্ঠে শ্লোগান দেন। সামনে দাঁড়ান লক্ষ লক্ষ মুজিব প্রেমী জনতা গলা ফাটিয়ে শ্লোগানে তাল দেন।এভাবেই দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতিটি সাংগঠনিক সফরে, তার নির্দেশে সকল সাংগঠনিক সফরে এক মনে এক দিলে শেখ হাসিনার পক্ষে কাজ করেন। যে কোন সিটি নির্বাচন, পৌর নির্বাচন,উপজেলা,ইউনি­য়ন নির্বাচনে গ্রামে গ্রামে, পাড়া মহল্লাায়,ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নির্বাচনী ক্যানভাস করে নিয়মিত ভাবে। সেই সব বক্তৃতার মুল উপজীব্য থাকে শেখ হাসিনার মিশন ও ভিশণের লক্ষ ও উদ্দেশ্য। ছাত্রজীবনে খুলনা সিটি কলেজে থেকে ছাত্রলীগের শ্লোগান জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু দিয়ে সেই যে পদচারণা এরপর খুলনা জেলা ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তারপর থেকে দেশরত্ন শেখ হাসিনার চলার পথে একজন নিভৃতচারী হয়ে সব সময় পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। প্রিয় নেত্রী যখন ৯৬ সালের আগে সারাদেশব্যপী সাংগঠনিক সফর করতেন তখন প্রিয় কামাল ভাই সব সময় তার সফরসঙ্গী হিসাবে আপার সাথে থাকতেন।

সেই চলা এখনও চলছে তো চলছে। বয়স ও হয়েছে।কতজনে কতো কথা বলেন 

কিন্তু তিনি নেত্রীর বিষয়ে অনড় ও দৃড়। 

আমরা অনেক সময় বলি ভাই আপনি এমপি হবেন না–? আরও বড় পদ চাইতে পারেন না—? ভায়ের উত্তর আমার তোমার থেকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা অনেক জ্ঞানী ও গুণী। 

দেশ তিনি চালান তিনিই ভাল বোঝেন কাকে কখন কোথায় দিতে হবে।শেখ হাসিনা আমাকে ভালবাসেন, আমাকে তার স্নেহ, মায়া, মমতায় সান্নিধ্যে থাকার সুযোগ দেন এর থেকে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে। একজন প্রকৃত মুজিব প্রেমী আদর্শিক নেতা না হলে এমন কথা বলা সম্ভব না প্রিয় কামাল ভাই কোনদিন তার শত্রুর সম্পর্কেও বাজে বলেন না,খারাপ বলেন না।কেউ এসে নানান কথা বলতে গেলে তাকে চুপ করিয়ে দেন। কটুবাক্য,আজেবাজে কথা কখনই বলতে দেন না ;শোনেন না। সারা দেশে শত শত হাজার হাজার নেতা কর্মীর নাম তার জানা,ফোন দিলে নিজে রিসিভ করে কথা বলেন। ধরতে না পারলে পরে নিজে কলব্যাক করেন। আর সব সময় একটাই কথা শেখ হাসিনার পক্ষে কাজ করুণ। একজন আদর্শবান মানুষ হিসাবে রাজনীতি করেন।কখনোই 

ওই কাউকে কষ্ট দিয়ে কথা বলেন না। 

একজন কর্মীর সাথে পরিচয় হলে তার আদ্যপ্রান্ত সকল বিষয়ে খোজ খবর নেন। 

ছাত্র হলে পড়াশুনা করতে পরামর্শ দেন। 

পিতা মাতার সেবা করার কথা বলেন। 

শত সমস্যা হলেও নামাজ পড়তে ভোলেন না। 

রাত যত গভীর হয় তার যন্ত্রণার আওয়াজও ততো বেড়ে ওঠে। ভয়াল সেই ২১ শে আগষ্টের গ্রেনেড হামলায় মারাক্তক ভাবে আহত সেই স্প্লিন্টার এখন শরীরে বিদ্ধমান। সেই যন্ত্রণা তাকে এখনও কুঁড়ে কুঁড়ে খাই।  তবুও তিনি থেমে যাবার নয়। শত প্রতিকূল পরিবেশ কে পিছনে ফেলে শেখ হাসিনার পথে চলেন। শ্লোগান দেন,বক্তৃতা করেন,সংগঠক কে শক্তিশালী করতে নিবেদিত হয়ে পরিশ্রম করেন ভায়ের সেই কথাটি আজও মনে পড়ে। আমরা সকলে রাজনীতি করি নিজের জন্য  একমাত্র দেশরত্ন শেখ হাসিনা করেন দেশ ও জনগনের জন্য। শ্রদ্ধেয় ভাই আমি একজন সাধারন ঘরের সাধারন ছেলে। যখন ছাত্ররাজনীতিতে আমার আশার প্রদীপ নিভু নিভু হয়ে গিয়েছিল তখন আপনি আমাকে উপহার দিয়েছিলেন একগুঁচ্ছ ঝলকান আলো  আমি সারাজীবন আপনার কাছে কৃতজ্ঞতাবশত হয়ে রইবো। আপনি পদ পদবিতে হয়ত খুব বড় নেতা না কিন্তু খুব কাছ থেকে দেখেছি সারা বাংলাদেশে এমন কি বিদেশেও আপনার ভক্ত সংখ্যা নেহায়েত কম না।

লেখক: মেহেদী হাসান রাসেল

সদস্য, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি।

          বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

আরো সংবাদ