পাঠকের কলাম : জননেত্রী শেখ হাসিনা বিমান বাহিনীর একাডেমিতে রাষ্ট্রপতির কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের সময় সূচি যখন গ্রহন করেন।ঠিক সেই সময়ে শাহিন চাকলাদার প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করেন এবং অনুরোধ করেন যশোরে একটি জনসভা করবার জন্য, শাহিন চাকলাদারের সেই অনুরোধে সাড়াদেন বিশ্ব মানবতার মা। এবং ভেনু ঠিক হয় যশোর স্টেডিয়াম তখন থেকেই এম পি কাজী নাবিল আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ভন্ডুলের ঘূটি চালতে থাকেন প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্ন এংগেলে বোঝানোর চেস্টা করেন যশোর এখন তার জন্য নিরাপদ স্থান নয় প্রধানমন্ত্রী একই উত্তর দিয়ে যায়, যশোরে আমার শাহিন চাকলাদার আছে কোন ভয় নাই।এবং দাবার ঘূটির চালে আরও তিন এম পিকে নাবিল এম পি দলে টানেন।প্রধানমন্ত্রীকে বোঝাতে সক্ষম না হলে তারা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে এটি বোঝাতে চেস্টা করেন নিরাপত্তার ব্যাপারটি এবং এক্ষেত্রে এম পি’রা বিজয়ের সিকে ছেড়েন।কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পরম স্নেহের শাহিন চাকলাদার আবার ও প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেন এবং নতুন ঈদগাঁহ ভ্যেনুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভায় সন্মতি প্রকাশ করেন।তারপরে থেমে থাকেনি কাজী নাবিলের সাথে থাকা এম পি রা এবার তারা নতুন ষড়যন্ত্রের ছক আকঁতে থাকেন।নতুন ষড়যন্ত্রটি এমন যেহেতু প্রধানমন্ত্রীকে যশোর আগমন ঠেকানো যাবেনা।সেহেতু প্রধানমন্ত্রীর কাছে জননেতা শাহিন চাকলাদারকে কালার বানাতে হবে যেই কথা সেই কাজ ঢাকায় কাজি নাবিল আহমেদের ব্যবসাস্থল মিনা বাজারে ম্যারাথন মিটিং শুরু হল মিটংয়ে এক একটি এলাকার সন্ত্রাসীদের বাহিনী প্রধানরা যোগ দিলেন এবং তাদের নেতৃত্বে ছিলেন বহু মামলার আসামী ছিনতায়কারী খ্যাত ম্যানসেল তার সাথে ছিলেন ওয়াপদার রাজিবুল রেলগেটের শিকদার বুনো আসাদ মহিথ কুমার নাথ ডিম রিপন আরো অনেকে।একদিকে চলছে ষড়যন্ত্র অন্যদিকে শাহিন চাকলাদারের একান্ত চেস্টা ও দিনরাত পরিশ্রমে চলছে প্রধানমন্ত্রী জনসভা সাকসেসের প্রচেস্টা এই ষড়যন্ত্রের গন্ধ শাহিন চাকলাদার বুঝে উঠতে না পারার কারন তার মাথায় জনসভা ছাড়া আর কিছু ছিল না।৩১ শে ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর জনসভা স্থল সকাল থেকে প্রস্তুত শুরু হল ষড়যন্ত্রের প্রথম ধাপ খুব ভোরে ওয়াপদার সন্ত্রাসী রাজিবুল ও ম্যানসেলের নেতৃত্বে ঈদগাঁর দক্ষিণ পাশের গেট দখল হয়ে গেল।যুবলীগ নেতা হাজি সুমন ও সাবেক ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল দক্ষিণ পাশের গেট দিয়ে ঢুকবার চেস্টা করেন জনসভাস্থলে বিপুলকে দেখেই ম্যানসেল প্রথমে পিস্তল উচিয়ে গুলি করতে উদ্যত হয় বিপুল প্রানভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন এরপর,হাজী সুমনের নেতৃত্বে একটি বিশাল মিছিল দক্ষিণ গেটে প্রবেশের জন্য আসে সংগে সংগে ম্যানসেল রাজিবুল তেড়ে আসেন এবং রেলগেটের শিকদার হাজি সুমনকে ছুরিকাঘাতের চেস্টা করেন এক্ষেত্রে হাজি সুমন সামাম্য আহত হলে সাধারন মানুষ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা ফুসে উঠেন এবং ম্যানসেল কে ধাওয়া করেন পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সহ ম্যানসেল পালিয়ে গেলেও ব্যাপক জনরোসের শিকার হন ওয়াপদার রাজিবুল শিক দার ও সবুজ গনরোসের শিকার হয়ে তারা যশোর সদর হসপিটালে ভর্তি হন।ওদিকে বিমান বাহিনীর ঘাটিতে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রীকে কাজি নাবিল আহমেদ সহ অন্যান্য এম পিরা এবার বোঝাতে সক্ষম হন যে শাহিন চাকলাদারের সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা তাদের কর্মীরা ব্যাপক ভাবে আহত যদিও একই কথা প্রধানমন্ত্রীকে কানে দেন গোয়েন্দা সংস্থার একটি দল এই দলটিও এম পিদের ষড়যন্তের সাথে ছিলেন।শেষমেশ জনসভা শেষে বাড়ি ফেরত আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের বলতে শোনা যায় কাজি নাবিল সহ কিছু এমপির পাতা ফাঁদে শাহিন চাকলাদার পা দিলেন।