স্টাফ রিপোর্টার।। যশোর পুলিশ লাইনে কর্মরত এক কনস্টেবলকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই সদস্যকে পুলিশ লাইনে, না বাড়িতে আলাদা করে রাখা হবে- সে সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। দ্রুতই এই সিদ্ধান্ত হবে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল দশটার দিকে একজন পুলিশ সদস্য ওই কনস্টেবলকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। জরুরি করোনা ইউনিটে শারীরিক পরীক্ষা শেষে সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারের কাছে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তাকে হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। সূত্র অসুস্থ ওই কনস্টেবলের বরাত দিয়ে আরো জানিয়েছে, তিনি পুলিশ লাইনে যে রুমে ছিলেন, সেই রুমের ছয় সদস্যের মধ্যে একজনকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ইতিপূর্বে ঢাকায় পাঠানো হয়। দুইজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। আর আজ এই কনস্টেবলকে হাসপাতালে আনার পর হোম আইসোলেশনে পাঠানো হলো।
জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আরিফ আহমেদ বলেন, সন্দেহভাজন এক পুলিশ কনস্টেবলকে আজ হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরে করোনাভাইরাসজনিত লক্ষণ থাকায় তাকে হোম আইসোলেশনে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, ‘আপনারা আমার আগেই তথ্য জেনে যান। আপনার তথ্য সূত্র বলেন। খোঁজ নিয়ে পরে জানানো হবে।’
জানতে চাইলে যশোর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, আজ জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে একজন কনস্টেবলকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠাতে বলা হয়েছে। তাকে পুলিশ লাইনে, না বাড়িতে পৃথক করে রাখা হবে সে সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন শিকদার সহকর্মীদের ছুটির বিষয়টি দেখভাল করেন। তিনি একটি জরুরি সভায় আছেন। ফিরলে দ্রুতই সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কতজন পুলিশ সদস্য হোম কোয়ারেন্টাইনে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন শিকদার বলেন, ‘একজনকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। আজকের বিষয়ে আমার জানা নেই; খোঁজ নিতে হবে।’
জানতে চাইলে পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন বলেন, ‘সামান্য জ্বর। কোথায় হোম কোয়ারেন্টাইন! কোথা থেকে তথ্য পান?’
এর আগে গত ১৯ মার্চ বেনাপোল ইমিগ্রেশনে দায়িত্বরত এক কনস্টেবলকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ বিভাগ সূত্রে জানা যায়।