আজ - রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - দুপুর ২:০০

কামাল হোসেন একজন সমন্বয়কের গল্প-অতঃপর তিনি

 

  • ৩১ টি ওয়ার্ডের ২৫ টি’তে প্রতিদিন হেঁটেছেন তিনি পৌঁছেছেন প্রায় ৪০০ বাড়ী। বাকী গুলোতে ১ দিন পরপর।

  • চমৎকার দেখাবেন কথা দিয়েছিলেন-রাখলেনও!

  • তিনি প্রচারবিমূখ,তিনি নির্ভৃতচারী ,তিনি কর্মীদের প্রিয় সমন্বয়ক

  • নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও সীমানা ছাঁড়িয়ে গোটা খুলনা জেলা আ’লীগের মান-অভিমান ভাঙ্গিয়ে গোত্রের পুণঃসমন্বয়ও সাধন করতে ভোলেননি তিনি।

  • সর্বশেষ কেসিসি নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত মেয়রপ্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেকের নৌকার বিজয় বয়ে আনে তার পরিশ্রমের চূড়ান্ত সাফল্য

কে এই কামাল হোসেন?

নাঈম সাব্বির: (স্পেশাল করসপন্ডেন্ট পলিটিক্স ও জনদূর্ভোগ): বঙ্গবন্ধুর আদর্শই যার রাজনীতির মূল পাথেয়। জননেত্রী শেখ হাসিনাই যার মূল অনুপ্রেরনা। আর তিনি হলেন সাবেক সফল ছাত্রনেতা এস এম কামাল হোসেন। বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সদস্য হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। যার একমাত্র আদর্শ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যার মূল অনুপ্রেরনা হল বিশ্বমানের নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তিনি প্রিয় নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার মত ফজরের নামাজ পড়ে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন।প্রত্যহ নিয়মিত সকাল বিকাল ধানমন্ডি সভানেত্রীর কার্যলয়ে ৩/১ এ আসেন। নেত্রীর নির্দেশ এ তিনি দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ছুটে বেড়ান। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামীলীগ সহ সকল সহযোগী সংগঠনের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত কে শক্তিশালী করতে দিন রাত পরিশ্রম করেন। কোথায় নেই তিনি!মিছিল, মিটিং, স্লোগান, নির্বাচনী সমাবেশ, সহ সকল ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রমে প্রিয় নেতার উপস্থিতি শতভাগ। তিনি একজন অনলবর্ষী বক্তা; বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার কথা তার মুখ থেকে শুনতে জনসাধারন মন্ত্র মুগ্ধের মত দাড়িয়ে থাকে। তিনি প্রতিটি সভা-সমাবেশে সর্বপ্রথম দেশরত্ন শেখ হাসিনার জন্য দোয়া চান। পরে বলেন- “আমি বকতৃতা করতে আসি নি আমি আমার আপনার প্রিয় নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের জন্য দোয়া চাইতে এসেছি” মিষ্টভাষী, সদালাপী, শিক্ষিত, সজ্জন, একজন সাবেক সফল ছাত্রনেতা, মেধাবী ও আধুনিক চিন্তা চেতনাত্মক রাজনীতিবিদ হিসাবে তার কোন জুড়ি নেই। এস এম কামাল দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশ ছাড়া কোন কাজ করেন না, তার সুনাম ক্ষুন্ন হয় এমন কোন কর্মে নিজেকে কখনও জড়াননি। এস এম কামালের একমাত্র ভাললাগার, ভালবাসার, শৈশবের, কৈশোরের, আবেগ, অনুভুতি আর স্বপ্নের শেষ ঠিকানা জননেত্রী শেখ হাসিনা। এমন একজন অতি সাধারন, সজ্জন, প্রজ্ঞাবান রাজনীতিজ্ঞ মানুষ কে এই সময়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনার পাশে খুবই দরকার। এস এম কামাল তার রাজনৈতিক ভাবনা নিয়ে বলেন- “২০২১ সালের ভিতর বাংলাদেশ কে একটি মধ্যেম আয়ের দেশ, ২০৪১ সালের ভিতর একটি উন্নত সমৃদ্ধ হিসাবে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুর সু-যোগ্য কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনার পাশে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলে ও পাশে থাকার দৃঢ অঙ্গিকার। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পুর্ন করা এবং তার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানের একজন সফল রাষ্টনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে একজন আদর্শিক সৈনিক হিসাবে নেত্রীর দেওয়া দ্বায়িত্ব সঠিক ভাবে সততার সাথে পালন করতে চাই।” তিনি আরো বলেন “বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আর প্রিয় নেত্রীর দিক নির্দেশনা ই আমার সকল কর্মের মুল অনুপ্রেরণা।” রাজনৈতিক পরিচিতি : ওরাকান্দি মিড হাই স্কুল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ, খুলনা, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি। জাতীয় ছাত্রলীগের পর্যায়ক্রমে কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাধারণ সম্পাদক।

এস এম কামাল হোসেন।

১৯৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের অন্যতম নেতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের সদস্য। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দীর্ঘদিনের উপ কমিটির সহ সম্পাদক । বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহি সদস্য। ব্যক্তিগত পরিচিতি:-এস এম কামাল হোসেন ৩১ জানুয়ারী ১৯৬০ সালে গোপালগঞ্জ জেলার, কাশিয়ানী থানার জোনাসুর নামক গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। পিতা :মরহুম বাকা মিয়া এবং মাতা : মরহুমা আবেজা খাতুন।এস এস সি ওরাকান্দি মিড হাই স্কুল থেকে ১৯৭৬ সাল ,পরবর্তীতে খুলনা সিটি কলেজ থেকে এইচ এস সি পাশ করেন।মাস্টার্স শেষ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর লাইব্রেরি সাইন্স নিয়ে ।এল এল বি সিটি ল কলেজ থেকে।পরবর্তিতে ঢাকা বারের সদস্য হন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে এস এম কামাল এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক। স্ত্রীর নুরানী আক্তার, ভিখারুন্নেসা নুন স্কুলের শিক্ষিকা।

আরো সংবাদ