আজ - সোমবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - দুপুর ২:৪৩

কায়েমকোলার মিঠু মাদক বিক্রেতা থেকে প্রতারক।

ঝিকরগাছায় মিঠু নামে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে প্রতরণা করে কয়েক লক্ষাধিক টাকা আত্মসাথের অভিযোগ উঠেছে। প্রতারণার মাধ্যমে একাধিক দোকান থেকে রড-সিমেন্ট ক্রয় করে উল্টো দোকানদারদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে মিঠু। প্রতারক মিঠু উপজেলার মাগুরা নওয়াদাপাড়া গ্রামের আঃ শুকুরের ছেলে। প্রতারণা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে মাদক বিক্রিরও অভিযোগ রয়েছে। একসময় টিনের বাড়ি থাকলেও প্রতারণা ও মাদন বিক্রির টাকায় করেছেন আলিশান ছাদের বাড়ি। এছাড়া প্রতারণা করার জন্য তার রয়েছে অস্ত্রধারী স্থানীয় ক্যাডার বাহিনী। তারেদ বিরুদ্ধে কথা বললে নিস্তার নেই কারোর। তবে বর্তমানে মাদক বিক্রির পাশাপাশি প্রতারণা পথ বেছে নিয়েছে মিঠু।

একাধিক সূত্র জানায়, মিঠু এক সময় মাদকের বড় সিন্ডিকেট চালাতো। এখন মাদকের সিন্ডিকেটের পাশাপাশি প্রতারণা পথ বেছে নিয়েছে। এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে গেলে তাদের পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে তাদের পুলিশে ধরিয়ে দেওয়াসহ হয়রানি করার ভয়-ভিতি দেখায়। এ কারনে অনেকে প্রতারণার শিকার হলেও মুখ খুলতে ভয় পায়।

প্রতারণার শিকার চৌগাছার আরএম এন্টারপ্রাইজের সত্তাধিকারী আল মামুন জানান, প্রতারক মিঠু আমার কাছ থেকে প্রতারণা করে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকার রড-সিমেন্ট ক্রায় করে। এখন টাকা চাইতে গেলে তিনি তালবাহানা করে টাকা নিয়ে ঘুরাচ্ছে।

উপজেলার খলসি বাজারের মেসার্স সামিয়া ট্রেডার্সের
রড-সিমেন্ট বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, মিঠু তার ভাই বিদেশ আছে বলে আমার মোবাইল নাম্বার নেয়। কিছুক্ষন পরে বিদেশি একটি নাম্বার থেকে আমার মোবাইলে ফোন দিয়ে বলে ভাই আপনার ব্যাংক একান্ট নাম্বার দেন টাকা দিয়ে দিচ্ছি। কিছু সময় পরে ফোন দিয়ে বলে ভাই রড-সিমেন্ট দিয়ে দেন আপনার একাউন্টে টাকা দেওয়া হয়েছে আপনি ২৪ ঘন্টার আগে তুলতে পারবেন না। এ কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে মিঠু আমার কাছ থেকে ৩ মাস আগে মোট ২ লাখ ২ হাজার টাকার মালামাল ক্রয় করেছে।

এছাড়া, সলুয়া বাজারের নূর মোহাম্মদ এন্টারপ্রাইজ, কায়েমকোলা বাজারের গাজী এন্টার প্রাইজ, ঝিকরগাছা বাজারের মমতাজ ট্রেডার্সসহ একাধিক দোকানি এ প্রতারণার শিকার হয়েছে।

ঝিকরগাছা থানা সেকেন্ড অফিসার ও ২নং মাগুরা ইউনিয়নের বিট পুলিশের দায়িত্ব থাকা এসআই মকলেছুর রহমান জানান, মিঠু অনেক বড় শয়তান। ওর কাজই হল চিটারি করা। মিঠুর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। এছাড়া মিঠু পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে এসব অপকর্ম করে থাকে। এরআগে প্রতারণার জন্য তাকে দুই বার চালান দেওয়া হয়েছে। আমি যতদুর জানি মিঠু একজন খারাপ প্রকৃতির মানুষ।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে অভিযুক্ত মিঠু প্রতারণার বিষয় অকপটে স্বীকার করে বলেন, রিপোর্ট করে আমার কিছু করতে পারবেন না। প্রতারণার করার জন্য আমি উপর মহলে টাকা দিয়ে থাকি। থানা পুলিশ আমার কেনা। আমি যাদের সাথে প্রতারণা করেছি এটা তাদের আর আমার ব্যাপার এ বিষয়ে আপনি নাক গলানোর কে?
তিনি আরো বলেন, আমি শুধু এ কয়জনের সাথে নয় আরো অনেকের সাথে এমন প্রতারণা করেছি প্রয়োজনে তাদের ঠিকানা দিচ্ছি দরকার হলে তাদের সাথে কথা বলে রিপোর্ট করেন তাহলে আমার জন্য অনেক উপকার হবে। সবশেষে প্রতিবেদককে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে লাইনটি কেটে দেয়।

আরো সংবাদ