আজ - বৃহস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ১১:০০

কিশোর গ্যাং এর গডফাদার বিপুলের বিরুদ্ধে জবর দখল মামলা।

চাঁদা দাবি, জবরদখল ও হুমকির অভিযোগে যশোর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুলসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মেসার্স নদী বাংলা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসিকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী রুহিন বালুজ।
মামলার অপর আসামিরা হলেন উপশহর বাবলাতলা এলাকার বাসিন্দা এসএম মোস্তাফিজুর রহমান, পুরাতনকসবা পাওয়ার হাউজপাড়ার আব্দুল হামিদ, পুরাতনকসবা মশিউর রহমান সড়ক এলকার বাসিন্দা নুর আলম ও পুরাতনকসবা পুলিশ লাইন এলাকার আব্দুল হাই শাহাবুদ্দীন।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আসামি আব্দুল হামিদ, নুর আলম ও আব্দুল হাই শাহাবুদ্দিন শহরের গাড়িখানা রোডের ৫ শতক জমির মালিক। এ জমিতে তারা বহুতল ভবন নির্মানের জন্য আমমোক্তার নামার মাধ্যমে মেসার্স নদী বাংলা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের কাছে অস্থান্তর করেন। চুক্তি অনুযায়ী এ ভবনের ৪০ শতাংশ ফ্লাটের মালিকানা পাবে ওই তিনজনসহ তার শরিকেরা। ভবনের ৫ তলা পর্যন্ত নির্মাণ শেষে হলে আসামিদের প্রাপ্য অনুযায়ী ফ্লাট বুঝে দেয়া হয়। ৬ষ্ঠ তলার কাজ শুরু করলে হামিদ, আলম ও তার অপর দুই আসামির সহযোগিতা নিয়ে কাজ বন্দ করে দেন। এরপর আসামিরা কোম্পানির প্রাপ্ত ফ্লাট বিক্রি করতে বাধা দেন।
২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি আসামি ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলমকে ডেকে নদী বাংলা কাশেম টাওয়ারের নিচ তলায় নিয়ে আসামি বিপুল এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার টাকা না দেয়ায় আসামিরা পরিকল্পিতভাবে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ৪র্থ তলার সম্পূর্ণ অংশ দখল করেন এবং আসামি বিপুল অফিস খুলে বসেন। এরপর নানা দেনদরবার করে কোনো লাভ হয়নি। ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আসানি বিপুল ঢাকা রোড ব্রিজসংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে দেখা করতে বলেন। সেখানে আসামি তার আড়াই কোটি টাকার সম্পদ উদ্ধারে এক কোটি টাকা চাঁদা না দিলে ভবনের আশেপাশে গেলে খুন-জখম করবেন বলে হুমকি দেন।

আরো সংবাদ