মিতু রহমান (বগুড়া প্রতিনিধি): নিজেকে কুমারী বলে পরিচয় দিয়ে ২য় বিয়ে করায় বগুড়ায় এক গৃহবধূর জেল জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। প্রথম বিবাহ গোপন করে কুমারী সেজে ২য় বিয়ে করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় দেন বিচারক। দন্ডপ্রাপ্ত মহিলা শাপলা আকতার লিলি গাবতলী থানাধীন মহিষাবান গ্রামের আবুল কালামের কন্যা। পেনাল কোডের ৪৯৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে লিলি নামে এক গৃহবধূকে দুই বছরের সশ্রম কারাদ- এবং ৫০০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেছেন বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। গত বুধবার ম্যাজিস্ট্রেট আছমা মাহমুদ জনাকীর্ণ আদালতে দন্ডপ্রাপ্ত আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে ২য় স্বামীর মামলায় দুই মাস সাজা ভোগ করার পর জামিনে মুক্ত হন লিলি। মামলা সূত্রে জানা গেছে, দন্ডপ্রাপ্ত শাপলা আকতার লিলি তার বিবাহিত স্বামী শাজাহানপুর উপজেলার শেরকোল গ্রামের মৃত আফছার আলীর ছেলে মো. রাজু আহম্মেদ এর ঘরসংসার করাকালে প্রথম বিবাহ গোপন করে কুমারী সেজে গাবতলী উপজেলার ধোড়া গ্রামের আমজাদ হোসেন মোল্লার ছেলে আপেল মাহমুদ রনির সঙ্গে ২য় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এ ব্যাপারে লিলির প্রথম স্বামী রাজু আহম্মেদ ৬ জনকে আসামি করে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে গাবতলী মডেল থানার এস আই জাহিদুল ইসলাম আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলায় সাক্ষী শেষে বুধবার বিজ্ঞ আদালত উল্লেখিত রায় প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, ১ম বিবাহ গোপন করে নিজেকে কুমারী বলে পরিচয় দিয়ে ২য় বিয়ে করায় ২য় স্বামী আপেল মাহমুদ রনি বাদী হয়ে আদালতে একই ধরনের একটি মামলা করেন। ওই মামলাতেও বাদীর আর্জি সত্য প্রমাণিত হওয়ায় চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি আদালত আসামি শাপলা আকতার লিলিকে ১ বছর ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছিলেন এবং ৫ হাজার) টাকা জরিমানা করেছিলেন। এ দন্ডে দুই মাস সাজা ভোগ করার পর আপিলে বের হন লিলি। বুধবার লিলি আদালতে অনুপস্থিত থাকায়, যেদিন সে গ্রেফতার হবে, সেদিন থেকেই তারা সাজা কার্যকর হবে বলে আদালত উল্লেখ করেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী শাহাদত হোসেন জানান, দ্বিতীয় স্বামী আপেল মাহমুদ রনিও আদালতে একই ধরনের মামলা করেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ওই মামলাতেও গত ৩ জানুয়ারি লিলিকে দেড় বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন।