আজ - মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - ভোর ৫:৪০

কেশবপুরে মন্দিরে চুরি, স্বর্নালংকার উদ্ধার আটক-১

গত ৯ মে যশোরের কেশবপুর বাজারের কালী মন্দিরে চুরির ঘটনার সাথে ৬জন জড়িত ছিলো। এই চুরির ঘটনায় জড়িত আসিব মোল্লা ওরফে হাসিব মোল্লা (২৫) যশোর ডিবি পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

হাসিব সদর উপজেলার তোলা নুরপুর গ্রামের বাবুল মোল্লার ছেলে। সেখানে বাড়ি নির্মিত হচ্ছে। একারণে সে পরিবার নিয়ে উপশহর ডি ব্লকের মাহবুবুল আলম খানের বাড়িতে ভাড়া থাকে।

গত ৮ মে জুন দুপুরে যশোরের নিউ টাউন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে হাসিবকে আটক করা হয়। পরে তার কাছ থেকে চুরি হওয়া মালামালের মধ্যে ২ ভরি ১০ আনা ওজনের একটি সীতাহার, ৩ ভরি ১ আনা ওজনের একটি রুপার বিছা, ৩ ভরি ৭ আনা ওজনের ৫টি রুপার নূপুর, ৪ টি শাড়ি, একটি প্লাস ও একটি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়।

ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, গত ৮ মে রাতে কেশবপুর বাজারের কালী মন্দিরের গ্রিল কেটে সোনার ও রুপার গহনাসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি হয়ে যায়। এই ঘটনার পরদিন কেশবপুর থানায় একটি মামলা হয়। এই মামলা তদন্ত করে ডিবি পুলিশ। তারা এক মাস বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে হাসিবের সন্ধান পায়। পরে তাকে গত শনিবার আটক করে।

হাসিব জানিয়েছে, তাদের একটি গ্রুপ আছে যারা বিভিন্ন বাসাবাড়ি, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে চুরি করে বেড়ায়। ঘটনার দিন পালবাড়িতে বসবাসকারী আল-আমিনের সাথে তার কথা হয়। সাথে ছিলো ধর্মতলা এলাকার রাজু নামে আরেকজন। তারা কেশবপুরে যায় দোকানে চুরির উদ্দেশ্যে। সেখানে পরিচয় হয় আরো তিনজনের সাথে। সে তাদের নাম পরিচয় বলতে পারেনি। তারা দোকানের চুরির সুযোগ করতে না পেরে কেশবপুরের ওই তিনজন জানায় কালী মন্দিরে সোনা পাওয়া যাবে। ৮ মে রাতে তারা কালী মন্দিরে যায়। বাইরে সে আর আল-আমিন দাঁড়িয়ে পাহারা দেয়। বাকি চারজন গ্রিলকেটে সিসি ক্যামেরা ভেঙে ভেতরে ঢোকে এবং ১৩ ভরি সোনার অলংকার, ১৮ ভরি রুপার অলংকার এবং ২২টি শাড়ি চুরি করে নিয়ে যায়। পরে তার কাছ থেকে উদ্ধার করা সোনার গহনা ও চারটি শাড়ি বিক্রি করে দিতে বলে বাকি সদস্যরা। গত শনিবার সে বিক্রির জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে পুলিশ তাকে আটক করে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে আদালতে জবানবন্দী দেয়। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসামি আসিফের জবানবন্দী ১৬৪ ধারায় গ্রহণ করেন।

আরো সংবাদ