আজ - রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সন্ধ্যা ৭:০৪

খুলনা কারাগারেই বিয়ে হলো ধর্ষণের শিকার কিশোরীর

উচ্চ আদালতের আদেশে খুলনা জেলা কারাগারে ধর্ষণ মামলার আসামির সঙ্গে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বিয়ে দেয়া হয়েছে। কারাগারের ভেতরে রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে এই বিয়ে হলেও তা সোমবার ( ১১ এপ্রিল) জানাজানি হয়।

সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা জেলা কারাগারের জেলার তারিকুল ইসলাম।

ওই আসামি হলেন- খুলনা সদর থানাধীন রায়পাড়া এলাকার রফিকুল ইসলাম বাবু। তিনি রায়পাড়ার একটি বাড়িতে কেয়ারটেকারের কাজ করতেন। সে বাড়িতেই গৃহকর্মী ছিলো ১৫ বছরের ওই কিশোরী।

রফিকুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন গৃহকর্তা। মামলায় বলা হয়, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন রফিকুল। তাতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। গৃহকর্তা মামলা করলে সে সময় গ্রেফতার হন রফিকুল।

জেলার তারিকুল জানান, খুলনা সদর থানায় ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর ধর্ষণের মামলা হয়। তখন থেকে কারাগারে রফিকুল। আর ওই মেয়েটি ছিলো সেফহোমে ছিলেন। সেখানেই তার সন্তান জন্ম নেয়।

তরিকুল আরো জানান, রফিকুল তার আইনজীবীর মাধ্যমে বিয়ের করার শর্তে উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করেন। সেখান থেকে আদেশ আসে বিয়ে দেয়ার। আদেশে বলা হয়, বিয়ের পর রফিকুলের জামিনের আবেদন বিবেচনা করা হবে।

ওই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন- জেল সুপার ওমর ফারুক, জেলার তারিকুল ইসলাম, ডেপুটি জেলার ফখরউদ্দিন, ডেপুটি জেলার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী, সার্জেন্ট ইন্সট্রাক্টরসহ বিভিন্ন পদে নিয়োজিত কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম বলেন, বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনের ১৯ ধারায় বলা হয়েছে, ‘বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্ত বয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থে, আদালতের নির্দেশ এবং পিতা-মাতা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতিক্রমে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণক্রমে, বিবাহ সম্পাদিত হইলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে না। যেহেতু এই বিয়েটা উচ্চ আদালতের নির্দেশে হয়েছে। তাই এটা নিয়ে অন্য কোনো কথা বলা যাবে না।

তিনি আরো বলেন, ২০২০ সালে মামলাটি করার পর বাদী আমার সহযোগিতা চেয়েছিলেন। মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা থাকায়, আমি তাকে সেফহোমে রাখার ‌আবেদন করেছিলাম আদালতে। পরে আদালত তাকে বাগেরহাটের সেফহোমে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলো।

জেলার তরিকুল জানান, বিয়ের পর মেয়েটিকে আবার সেফহোমে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

আরো সংবাদ