আজ - বৃহস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৭:২৩

গভীর রাতে আটজনের হাতে স্ত্রীকে তুলে দিলেন স্বামী


ময়মনসিংহ প্রতিনিধি, মাজারে গানের অনুষ্ঠান দেখিয়ে স্ত্রীকে বাড়ি না নিয়ে অন্ধকার রাতে একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে যান স্বামী রতন মিয়া। সেখানে কয়েকজন আগুন জ্বেলে শীত নিবারণের চেষ্টা করছিল। নির্জন বাড়িটিতে নিয়ে রতন মিয়া তার স্ত্রীকে সেই আগুন পোহানো লোকদের কাছে তুলে দেন।এরপর রাতভর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয় রতনের স্ত্রীর ওপর। গণধর্ষণের এমন ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের এনায়েতনগর গ্রামে।রতন মিয়া (৩০) এনায়েতনগর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। তিনি স্থানীয় গ্রাম পুলিশের সদস্য।মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে রতন মিয়ার সঙ্গে ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসের পেছনে বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ খুঁজতে যান স্ত্রী। কোনও বাসায় কাজ না পেয়ে স্বামীর সঙ্গে বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল দিয়ে জাটিয়া ইউনিয়নের শিমুলতলী মোড়ে  আসেন।রতন বাড়িতে না গিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে শিবপুর এলাকায় দরগায় গান শুনতে নিয়ে যান।  গান শুনে রাত ১১টার দিকে হেঁটে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা রওনা হয়। রাস্তা দিয়ে না গিয়ে ক্ষেতের মাঝখান দিয়ে জাটিয়া ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বাবু মিয়ার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে যায় রতন। সেখানে গিয়ে স্ত্রীকে মারধর শুরু করে। পরে সেখানে অপেক্ষমাণ কয়েকজনের হাতে তুলে দেয় তাকে। পরে সকালে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ থানায় গিয়ে হাজির হন।পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান শুরু করে। বিকেলে আটক করা হয় প্রধান অভিযুক্ত রতন ও সরিষা ইউনিয়নের লংগাইল গ্রামের আবদুস সোবহানের ছেলে নজরুল ইসলামকে।ঈশ্বরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদীন বলেন, গণধর্ষণের ঘটনার এমন খবর পেয়ে স্বামীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।

আরো সংবাদ