স্টাফ রিপোর্টার :: ছোট-বড় অন্তত ১৫টি গাছ কেটে মিনিপার্ক বানানোর উদ্যোগ নিয়েছে যশোর পৌরসভা। যশোর শহরের গরীবশাহ এলাকায় দুই সড়কের মাঝখানের জমিতে এই পার্ক বানানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হঠাৎ করেই পৌরসভার লোকজন ওই জমির গাছগুলো কেটে ফেলার উদ্যোগ নেয়। পরে স্থানীয় কাউন্সিলরের হস্তক্ষেপে রক্ষা পায় গাছগুলো। তখনই প্রকাশ পায় পৌর কর্তৃপক্ষের এমন উদ্ভট পরিকল্পনার কথা।
সূত্র জানায়, যশোর শহরের দড়টানার অদূরে গরীবশাহ মাজার। মাজারের সামনে থেকেই সড়কটি দুই ভাগ হয়ে নতুন শহীদ মিনারের সামনে মিলিত হয়েছে। মাজারের সামনেই দুই সড়কের মাঝে জেলা প্রশাসনের জমিতে ছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত ১৫টি গাছ রয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ওই গাছ কাটতে যান যশোর পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিএম কামাল আহমেদ।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিএম কামাল আহমেদ জানান, জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে পৌরসভা সড়ক আইল্যান্ডের ওই জমিতে মিনিপার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। সেখানে একটি বিমানের ভাস্কর্য এবং শিশুদের কিছু খেলনা স্থাপন করা হবে। এ জন্য ওই জায়গার গাছগুলো কেটে ফেলার উদ্যোগ নেয়া হয়। শুক্রবার সেখানে তিনি গাছগুলো কাটতে যান। কিন্তু স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমান মুস্তা বাধা দেন। পরে তিনি গাছ না কেটেই ফিরে আসেন।
যশোর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমান মুস্তা জানান, পৌরসভার উদ্যোগে এই আইল্যান্ডের গাছ কাটার কোনো সিদ্ধান্তের কথা তার জানা নেই। এ কারণে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে তিনি বাধা দিয়েছেন। আর পার্ক বানানোর জন্য এভাবে গাছ কাটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
এ প্রসঙ্গে যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ জানান, গরীবশাহ এলাকার ওই জমিটি জেলা প্রশাসনের। পৌর মেয়র পার্ক বানানোর জন্য জমিটি চেয়েছেন। কিন্তু ওই স্থানের গাছ কাটার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, সরকারি জমির গাছ কাটতে অনেক নিয়ম মানতে হয়। আর জীবিত গাছ তো আমরা কাটতেই পারি না। গাছগুলো বাঁচিয়ে রেখেই যা করার করতে হবে।