বৃহস্পতিবার ১২ মে রাত ১২.০০ টার সময় কোতয়ালী থানাধীন বসুন্দিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিম সালমা খাতুনের পাচারকারী স্বামী কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে এসআই মজিজুল ইসলামের নেতৃত্বে ডিবির চৌকস টিম। গ্রেফতারপৃর্বক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন ইং ১৫/০৪/২০২২ তারিখে আসামী কামরুল ইসলাম (৩০) তার নিজ স্ত্রী সালমা খাতুন (২৪) কে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে ফুসলিয়ে ভারতে নিয়ে গুজরাট রাজ্যের আনান্দ জেলার ভালেজ থানা এলাকায় আটক রেখে বিক্রির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সেখানে একটি ভাড়া বাসার মধ্যে নাকে-মুখে আঘাত করে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে দেশে পালিয়ে আসে।
উল্লেখ্য ১৫/০৪/২০২২ তারিখে যশোর কোতয়ালী থানাধীন বসুন্দিয়া বানিয়ারগাতী সাকিনস্থ ইউনুস আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম (৩০) তার নিজ স্ত্রী সালমা খাতুন (২৪) কে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে ফুসলিয়ে ভারতে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ইং ০৮/০৫/২০২২ তারিখে স্বামী কামরুল ইসলাম দেশে ফিরলেও স্ত্রী সালমা খাতুন ফিরে না আসলে সালমা খাতুনের পরিবারের লোকজন কামরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে খারাপ আচরন করে স্ত্রীর আত্ত্বীয় স্বজনদের বাড়ী থেকে বের করে দেয়। ভারতে সালমা খাতুনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পেয়ে সালমার পিতা মাতাদের সন্ধেহ হয়।তার পরিপ্রেক্ষিতে সালমা খাতুনের পিতা সহিদুল ইসলাম ইং ১১/০৫/২০২২ তারিখে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা রুজু করে। কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-২৫ তাং-১১/০৫/২০২২ ইং ধারা-মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৭/৮/৯/১০(১)/১৪।
ডিবির হাতে গ্রেফতার স্বামী কামরুলের কাছ থেকে ভিকটিম সালমা খাতুনের পাসপোর্ট।সালমা হত্যাকারী স্বামী কামরুলের ৩ টি পাসপোর্ট ও ভিকটিম সালমা খাতুনের মোবাইল ফোন উদ্ধার করে যশোর জেলা চৌকস ডিবি টীম।