যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক গ্রামের কাগজ ও দৈনিক যশোরের সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা এলাকার শেখ আব্দুস সবুরের স্ত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা জাকিয়া সুলতানা লাকি।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, শহরতলীর খোলাডাঙ্গা পশ্চিমপাড়ার লাল্টু মিয়া ও তার স্ত্রী আলেয়া সুলতানা আলো, মফিজুর রহমানের স্ত্রী ডলি বেগম, দৈনিক যশোরের প্রকাশক ও সম্পাদক জাহিদ হাসান টুকুন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নুর ইসলাম, দৈনিক গ্রামের কাগজের প্রকাশক ও সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আঞ্জুমানারা। অভিযোগটি আমলে নিয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন সিআইডি যশোর জোনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সাথে আগামি ৪ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, বিবাদী আলেয়া খাতুন আলো বিভিন্ন সময় বাদীর কাছ থেকে টাকা ধার নিতেন এবং পরবর্তীতে তা পরিশোধও করতেন। এরমাঝে আলো ও ডলি লাকিকে এসে জানায় ডলি একটি জমি কেনার জন্য মোটা অংকের টাকা বায়না দিয়েছে। অবশিষ্ট টাকা পরিশোধ না করলে জমি লিখে দেবেনা ও বায়নার টাকা ফেরতও দেবেনা বলে জানান। একই সাথে আটলাখ টাকা তিনমাসের জন্য লাকির কাছে টাকা ধার স্বরুপ চান তারা। একপর্যায় বাদীর জমানো ছয়লাখ ৭০ হাজার টাকা দেন লাকি। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পাওনা টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়ে নন জুডিসিয়াল স্টাম্পে একবছরের মধ্যে পরিশোধ করবে অঙ্গিকার করেন। এরপর ওই সময় অতিবাহিত হলেও টাকা ফেরত দেয় না আলো। এছাড়া আলোর স্বামীর প্ররোচণায় গত ২৩ আগস্ট দৈনিক যশোর ও ২৪ আগস্ট দৈনিক গ্রামের কাগজে বাদী ও বাদীর ভায়ের ছেলে এবং তার এক মামাতো ভাইকে জড়িয়ে সুদখোর আখ্যা দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। বাদীর অভিযোগ সংবাদটি যাচাই বাছাই ছাড়াই প্রকাশ করায় পত্রিকার সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকেও মামলায় বিবাদী করা হয়েছে।