আজ - রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শরৎকাল), সময় - সকাল ১০:০৯

চতুর্থ বিবাহ করতে যেয়ে ধরা পড়লো সুন্দরি লিজা।

চারটি বিয়ে করেও নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে লিজা আক্তার নামে এক নারীর বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার শহরের বেজপাড়া তালতলা মোড়ের সাইফুল ইসলাম রানা মামলাটি দাখিলের পর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী সৈয়দ কবীর হোসেন জনি। ওই নারী সদর উপজেলার লেবুতলা-গহেরপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে।

বাদী মামলায় বলেছেন, মোবাইল ফোনে ও ফেসবুকের মাধ্যমে আসামি লিজার সাথে তার পরিচয়। লিজা নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দেয়ায় দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরিবার অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেছে বলে সাইফুলকে হঠাৎ একদিন জানায় লিজা। সাইফুল তাকে বিয়ে না করলে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করবে বলে চলতি বছরের ১২ মার্চ হুমকি দেয় লিজা। বাধ্য হয়ে ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে লিজাকে বিয়ে করেন। এরপর লিজাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে সংসার করার কথা বললে রাজি হননি। শহরের অন্যত্র বাসা ভাড়া নিয়ে লিজাকে নিয়ে সংসার করার জন্য সাইফুলকে চাপ দেয়া হয়।

মামলায় আরো বলা হয়, কিছুদিন পর সাইফুল জানতে পারেন লিজার এর আগে বোরহান নামে এক যুবকের সাথে বিয়ে হয়েছিল। বোরহানের ঔরষে তিন বছর বয়সের একটি ছেলেও আছে। গত ২০ আগস্ট সাইফুল হঠাৎ বাসায় গিয়ে দেখেন শহরের কিসমত নওয়াপাড়ার আবির হোসেন নামে এক যুবকের সাথে ঘনিষ্ট অবস্থায় রয়েছেন লিজা।  আবির এক লাখ টাকা দেনমোহরে লিজাকে বিয়ে করেছেন বললে লিজা সেখান থেকে দ্রুত সটকে পড়েন তখন। এছাড়াও গত ১ সেপ্টেম্বর অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে আব্দুর রহিম নামে আরো একজনকে বিয়ে করেছেন লিজা।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে,  আবির, বোরহান, আব্দুর রহিম ও সাইফুল ইসলামসহ মোট চারজনের কাছে অবিবাহিত পরিচয়ে বিয়ে করে ব্যাভিচারী আইনে অপরাধ করেছেন লিজা। এসব বিষয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে লিজাকে ডেকে কারণ জানতে চান সাইফুল। কিন্তু কোনো জবাব না দিয়ে লিজা চলে যান।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত