ডেস্ক রিপোর্ট : কালিয়া উপজেলার সালামাবাদ ইউনিয়নের হাড়িডাঙ্গা গ্রামে চাচি-ভাতিজার পরকীয়া নিয়ে পারিবারিক কলহে মাহমুদা ইসলাম মাহিমা (২) নামে এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার বিকেলে শিশুটির মরদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মাহিমা হাড়িডাঙ্গা গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী মাহমুদ থান্দারের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০টার দিকে মাহিমার মা তাসলিমা বেগমকে (৩০) তার চাচি শাশুড়ি রোজিনা বেগমসহ (৩৫) তাদের লোকজন বেদম মারধর করে। একপর্যায়ে রোজিনা বেগম ও তার ছেলে মিথাল থান্দারসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা শিশুকন্যা মাহিমাকে মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে তাসলিমা বেগমকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে শিশু মাহিমাকে পুকুরে ভাসতে দেখেন প্রতিবেশীরা। এ ঘটনায় কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর থেকে রোজিনা বেগমকে আটক করে পুলিশ।
মাহিমার মা তাসলিমা বেগম অভিযোগ করেন, তার স্বামী মাহমুদ থান্দার প্রায় ১৪ বছর ধরে বিদেশে আছেন। দেশে আসা-যাওয়ার সূত্র ধরে চাচি রোজিনা বেগমের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। ফলে বিদেশ থেকে চাচির (রোজিনা) নামেই টাকা পাঠান। পরকীয়ার কারণে তাসলিমাকে সহ্য করতে পারেন না স্বামী মাহমুদ থান্দার ও চাচিশাশুড়ি রোজিনা। প্রায়ই তাসলিমার সঙ্গে ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে পড়েন রোজিনা বেগম। এরই জের ধরে রোববারও তাসলিমার সঙ্গে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হন রোজিনা বেগম। মাহিমাকে কেড়ে নিয়ে ঘাড় মটকে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে কালিয়া থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) ইকরাম হোসেন বলেন, শিশু মাহিমাকে পুকুরে ভাসতে দেখে প্রতিবেশীরা থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ মাহিমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, কী কারণে মাহিমার মৃত্যু হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি নড়াইল সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।