আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - বিকাল ৩:৩৭

চার দিন পানি নেই সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডে, বালতি হাতে মিছিল

 খালি বালতি নিয়ে খণ্ড খণ্ড মানুষের জটলা। সময় তখন শনিবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১০টা। ১০ মিনিট পর সবাই এক হয়ে খালি বালতি নিয়ে ‘পানি নাই, পানি চাই’, ‘ওয়াসার কাছে জবাব চাই’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। ১৫-২০ মিনিট ধরে এসব স্লোগানে চলে পানির জন্য বালতি মিছিল।রাজধানীর মালিবাগের সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডে দেখা যায় এ চিত্র। এই এলাকায় পানির জন্য হাহাকার চলছে। বুধবার (১৯ অক্টোবর) থেকে পানি না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এখানকার বাসিন্দারা।

এলাকাবাসী বলছেন, বুধবার হঠাৎ পানি আসা বন্ধ হয়ে যায়। তাই খাওয়া কিংবা রান্না করার জন্য পানি কিনতে হচ্ছে। এ নিয়ে ওয়াসার সঙ্গে যোগাযোগও করেছে তারা। ওয়াসা থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পানি চলে আসবে। এরইমধ্যে আরও দুই দিন পেরিয়ে গেছে কিন্তু পানি আসেনি।

ওই এলাকার ৪৯/এফ বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী মো. মিজানুর রহমান জানান, গত কয়েকদিন ধরে পানি নেই। খাওয়ার পানি নাই, রান্নার পানি নাই। তিন দিন ধরে গোসল করতে পারছি না। টয়লেটের পানি নাই। কত পানি কেনা যায়।

হামিদ মঞ্জিলের বাসিন্দা সাত্তার বলেন, বুধবার হঠাৎ পানি বন্ধ হয়ে যায়। এলাকার লোকজন ওয়াসার সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তারা বলছে, তাদের গাড়ির পানি দিয়ে ওই দিন চালাইতে, পরদিন ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু এরপরও তিন দিন পার হয়ে যাচ্ছে, এখনও পানি আসেনি। শুনছি ওয়াসা এসে লাইন ঠিক করবে কিন্তু আসতে তো দেখলাম না।

ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা রমজান উদ্দিন বলেন, ওয়াসার পানির গাড়ি থেকে পানি কিনে আপাতত চলছি। আবার তাদের পানির বিল তো দিতে হবে। আমরা দ্রুত সমাধান চাই, পানি চাই। খাওয়ার পানি না হয় কিনে খাওয়া যায়। কিন্তু রান্না, টয়লেট, অজু-গোসল এসবের জন্য কি পানি কিনে নেওয়া সম্ভব? গত তিন দিন ধরে খাবার হোটেল থেকে কিনে খেতে হচ্ছে।

৫৯ নম্বর জীবনের আলোর বাসিন্দা হামিদা বেগম বলেন, ঢাকা শহরে পানি ছাড়া চলা যায়? গ্রাম হলে পুকুরের পানি ব্যবহার করা যায়। প্রতিদিন বুয়া এসে ফিরে যায়। পানি নেই কি করবে? ছেলেমেয়েরা গোসল করতে পারছে না। পানি কিনে গোসল করা সম্ভব? আমরা দ্রুত পানি চাই।

আরো সংবাদ