আজ - বুধবার, ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ৯:৫০

চুড়ামনকাঠি চেয়ারম্যান জোর করে অন্যের জমিতে রাস্তা নির্মাণ করলেন।

যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক মালিকানা জমি দখল করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের দাবি, রাতের আঁধারে চেয়ারম্যান তার দলের ক্যাডারদের নিয়ে তাদের জমির উপর দিয়ে হেয়ারিং রাস্তা করেছেন। জমি উদ্ধারে তারা দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলা পশ্চিম পাড়ার রফি উদ্দিন ও তার স্ত্রীর নামে বাগডাঙ্গা মৌজাই ১৭৮১ খতিয়ানে ৭৭১৫ ও ৭৭১৬ দাগে ২৪ শতক জমি রয়েছে। রফি উদ্দিনের পোতা ছেলে আবু হাসনাত সোহাগ জানান, আমার দাদার পৌত্রিক জমি আমার বাবা, চাচা ও ফুফুরা ভোগ দখল করেছেন। তিনি আরো জানান, চাচা সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন শান্তি ও বাবার মৃত্যুর পর থেকে জমির উপর দিয়ে চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করে আসেন। আমি চাকুরির সুবাদে বাইরে থাকায় অক্টোবর মাসে চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন রাতের আধাঁরে আমাদের জমির উপর থাকা ৩ টি মেহগনি গাছ কেটে দিয়ে প্রায় ২ শত ফুট হেয়ারিং রাস্তা নির্মাণ করে নেন। এছাড়া আমাদের জমির শেষ প্রান্তে তেমন কোন বসতি বা পাড়াঘর না থাকলেও চেয়ারম্যান ইচ্ছাকৃতভাবে আমার চাচা ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন শান্তির উপর রাজনৈতিক রাগ থাকার কারণে এমন কাজ করেছেন। তিনি আরো জানান, রাস্তার কারণে তাদের জমির প্রায় ২ শতক বেদখল হয়ে গেছে। তিনি জমি উদ্ধারের জন্য এলাকাবাসীর দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন ফল পাচ্ছেনা। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তা নির্মাণের পর স্থানীয় চেয়ারম্যান উপজেলা চেয়ারম্যানের নামে প্রকল্প দেখিয়ে একটি ফলক বসিয়েছেন। এখানে লেখা আছে ছাতিয়ানতলা উত্তরপাড়ার সিদ্দিকের বাড়ি থেকে লিয়াকত আলীর বাড়ির অভিমূখে হেয়ারিং রাস্তা।

নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান দাউদের একজন কাছের মানুষ ওই পাড়ায় বসবাস করে। মূলত তার সুবিধার জন্য তিনি চেয়ারম্যানকে দিয়ে অন্যের জমির উপর দিয়ে এই রাস্তা তৈরি করে নেন। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ কর্মী আলম হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন বলেন, জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে সেই জমিটি সরকারি রেলওয়ের জমি। আমি জনগনের কল্যাণে রাস্তাটি করে দিয়েছি। রাস্তার অভাবে ওই পাড়ার বহু পরিবার চলাচলে কষ্ট ভোগ করে আসছিলো। এখানে আমার ব্যক্তিগত কোন স্বার্থ নেই। এছাড়া জোর করে রাস্তা নির্মাণ করা হয়নি।

আরো সংবাদ