শিক্ষানবিস প্রতিনিধি : যশোর সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার মারুফ হুসাইন ইকবালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাতে নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ইকবালকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এবং তার মুক্তির দাবিতে আজ শনিবার সকালে সংগঠনের কলেজ শাখার নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এসময় কলেজের ক্লাস বন্ধ হয়ে যায়।
ইকবাল শহরের নীলগঞ্জের আমারত হোসেনের ছেলে। তাকে গ্রেফতার নিয়ে পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাদের দুই ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে।
কোতয়ালী থানার ইনসপেক্টর (তদন্ত) আবুল বাশার বলেন, খন্দকার মারুফ হুসাইন ইকবাল হোসেনকে মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বিল্লাল হুসাইন দাবি করছেন, রাকিব হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনের ‘অপরাধে’ ইকবালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তিনি বলেন, ‘গত ২৬ মার্চ রাতে কলেজ কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক রাকিব হোসেন দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন। ওই খুনের ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে ইকবালের নেতৃত্বে আমরা আন্দোলন করি। পুলিশ রাকিব খুনে জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারেনি। কিন্তু আন্দোলনের কারণে ইকবালকে গ্রেফতার করেছে। তার মুক্তির দাবিতে আমরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছি।’
থানার ওসি একেএম আজমল হুদা বলেন, ওয়ারেন্ট থাকায় ইকবালকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিনুর রহমান শাহিনের দাবি, রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে ইকবালকে।
শাহীন বলেন, পুলিশ বলছে, ইকবালের বিরুদ্ধে একটি জিআর ওয়ারেন্ট আছে। আমরা ওয়ারেন্টের কাগজ দেখতে চাইলে পুলিশ দেখাতে পারেনি। আদালত শনিবার বন্ধ থাকায় সেখান থেকেও ওয়ারেন্টের কাগজ দেখতে পারিনি। আমাদের দাবি ইকবালকে মুক্তি দিতে হবে। এবং রাবিক হোসেন খুনে জড়িতদের গ্রেফতার করতে হবে। তা না হলে আমরা রাজপথের আন্দোলন চলবে।