ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর দায়ের করা ধর্ষণ ও ধর্ষণের সহযোগিতার মামলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের তিন নেতার দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
তারা হলেন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো.সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হাসান সোহাগ ও সংগঠনটির ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা।
বৃহস্পতিবার কারাগার আটক তিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর লালবাগ থানার মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী নুরুল হক নুরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। আসামিদের মধ্যে ধর্ষণে ‘সহায়তাকারী’ হিসেবে নুরের নাম উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে। ঘটনাস্থল হিসেবে লালবাগ থানার নবাবগঞ্জ বড় মসজিদ রোডে হাসান আল মামুনের বাসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
নুর ও মামুন ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা এবং ঢাবি শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল বাকি।