আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সকাল ৬:২৮

তাবলীগ জামাতের ১৫ সদস্যকে চেতনানাশক খাইয়ে সর্বস্ব লুট

পিরোজপুরের কাউখালীতে একটি মসজিদে থাকা তাবলীগ জামাতের ১৫ মুসল্লিকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে সর্বস্ব লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের গারতা আল সেতারা জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।

অসুস্থ হয়ে পড়ায় ওই মুসল্লিদের শুক্রবার ভোরের দিকে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অসুস্থরা হলেন- নীলফামারীর বড়ইবাড়ি গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে মোস্তকিম (১৯), সুনামগঞ্জের মোহনপুর গ্রামের আব্দুল শুক্কুরের ছেলে শফিউল্লাহ (৬২), একই জেলার কালিপুর গ্রামের নওয়াব আলীর ছেলে জাফর আলী (৬০), নেত্রকোনার তেলিগাতি গ্রামের আলী আকবরের ছেলে মিজানুর রহমান (৫০), একই জেলার বড়ইখালি গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে হামিদ উদ্দিন (৫৬), নওগাঁর বাকরাইন গ্রামের সাবের উদ্দিনের ছেলে ইদুকুল ইসলাম, একই জেলার সাকড়াইল গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে ইয়াসিন আলী (৫২), ভান্ডারপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আব্দুল ছত্তার (৪০), নোনাহারপুর গ্রামের খোদাবক্সের ছেলে মোস্তাকিম (৬০), রসুলপুর গ্রামের বসির শেখের ছেলে আব্দুস সামাদ (৭১), কক্সবাজার সদরের এনায়েতুল্লার ছেলে সফিউল্লাহ (৬৯), একই জেলার রাইটহাট গ্রামের ফেরদৌরে ছেলে আলী আকবর (৫৮), সুনামগঞ্জের ধরনিয়া গ্রামের মকবুল আলীর ছেলে আব্দুল হান্নান (৬০), নোয়াখালীর কাশীমপুর গ্রামের আরশতিমের ছেলে তাবারক উল্লাহ (৬৩), কক্সবাজারের নয়াপাড়া গ্রামের হাসেমউল্লার ছেলে হারুনুর রশিদ।

এদের মধ্যে আব্দুল হান্নান ও তাবারকউল্লাহর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তাবলীগ জামাতের এই দলটি বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) উপজেলার গারতা মসজিদে চিল্লায় অংশ নেয়।

তাবলীগ জামাতের সদস্য জয়পুরহাটের আক্কেলপুর গ্রামের মোজাহার হোসেন জানান, তারা রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোরে ফজরের নামাজের সময় ওই মুসল্লিার কেউ ঘুম থেকে না ওঠায় বিষয়টি স্থানীয়দের জানানো হয়। পরে তারা এসে অজ্ঞান অবস্থায় ১৫ জনকে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

কাউখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বনি আমিন জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। কোনো দুষ্কৃতকারী চুরির উদ্দেশ্যে বা নাশকতার জন্য এমন ঘটনা ঘটিয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত