আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - বিকাল ৩:২২

দাওয়াত না পেয়ে শিক্ষকদের পেটালেন চেয়ারম্যান

পাবনা জেলা প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত আন্ত:বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে দাওয়াত না করায় চেয়ারম্যানের নির্দেশে দুই শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ । মারধর শেষে মঞ্চ ভাংচুর।

গতকাল শনিবার (২৮ মে) সকাল ১১টার দিকেে উপজেলার প্রত্যন্ত খানমরিচ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনোয়ার খান মিঠুর নির্দেশে এই মারধর ও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষকরা ।

 

বিভিন্ন মাধ্যমে সরেজমিনে পরিদর্শনে জানা যায়, খানমরিচ ইউনিয়নের ২৮ টি বিদ্যালয়কে দুটি ভাগে বিভক্ত করে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে গতকাল শনিবার ইউনিয়নের চন্ডিপুর খেলার মাঠে চৌদ্দটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশে বাহিরের অতিথিদের আমন্ত্রণ না জানিয়ে বিদ্যালয়ের প্রবীণ প্রধান শিক্ষকরা সকাল ৯ টায় এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

 

 

এদিকে এদিন সকাল সোয়া দশটার দিকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনোয়ার খান এই অনুষ্ঠানে এসে দাওয়াত না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেসময় শিক্ষকরা তাকে বসতে বললেও তিনি চলে যান। কিছুক্ষণ পর শিক্ষা কর্মকর্তার পরামর্শে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে প্রধান শিক্ষকরা খেলার মাঠের পাশে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মনোয়ার খানের নির্দেশে তৌকির, মাসুদ ও আবুল কালাম সহ কয়েকজন যুবক বাঁশের লাঠি দিয়ে দাসমরিচ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানকে (৫৭) পেটায়।

পরে সাড়ে দশটার দিকে তৌকির, মাসুদ ও আবুল কালামসহ প্রায় ১৫ জন যুবক লাঠিসোটা নিয়ে শিক্ষকদের উপর হামলা চালিয়ে মাঠের মঞ্চ ভাঙচুর করে। এই হামলায় চন্ডিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া খাতুন সহ কয়েকজন শিক্ষক আহত হয়। এর পরপরই মাঠ থেকে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা চলে গেলে অনুষ্ঠান পন্ড হয়ে যায়।

 

এ বিষয়ে কথা বলতে চেয়ারম্যান মনোয়ার খানের মোবাইল ফোনে অন্তত চার বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এমনকি অন্য একটি নাম্বার থেকে ফোন করা হলে তিনি বক্তব্য দিতে পারবেন না বলে জানান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিষয়টি জানার পরেই থানা প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন প্রশাসনকে জানানো হয়েছে এবং থানা প্রশাসনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে প্রক্রিয়া করা হচ্ছে।

 

 

 

খানজাহান আলী নিউজ /ন/ পাবনা 

আরো সংবাদ