আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ৪:৫৭

দুই যুগেও গতি নেই খানজাহান আলী বিমানবন্দরের

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও জমি অধিগ্রহণের ২৫ বছর পরও বিভিন্ন জটিলতায় খুলনার খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণের কাজে গতি আসেনি।

মোংলা বন্দরের অদূরে খুলনা-মোংলা সড়কের পাশে ফয়লায় নির্মাণাধীন এ বিমানবন্দরটি দ্রুত চালুর দাবি জানিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা।

খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কাজি আমিনুল হক বলেন, বিদেশি ব্যবসায়ীরা খুলনা-বাগেরহাট এলাকায় আসতে চান না, কারণ এই এলাকায় কোনো বিমানবন্দর নেই। বিমানবন্দর না থাকায় সুন্দরবনে বিদেশি পর্যটকও কম আসছে।

“খুলনা থেকে প্রায় আড়াই-তিন ঘণ্টা সড়ক পথ অতিক্রম করে যশোর বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত ব্যবসায়ীদের জন্য বড় সমস্যা। বিমানবন্দর হলে মোংলা বন্দরের আয়ও বাড়বে।”

১৯৯৬ সালে ‘খানজাহান আলী বিমানবন্দর’ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ার দুই বছর পর ৪১ দশমিক ৩০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ এবং উন্নয়ন কাজ শুরু হয়। এরপর ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তন হলে বিমানবন্দরের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

পরে ২০১১ সালের ৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনায় খানজাহান আলী বিমানবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বিমানবন্দর করার ঘোষণা দেন। সেই ঘোষণার পর নতুন করে আরও ৬২৬ দশমিক ৬৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়।

বাগেরহাটের ডিসি মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, এখন বিমানবন্দরের সীমানা প্রাচীর এবং জমি ভরাটের কাজ চলছে। সম্প্রতি সিভিল এভিয়েশনের একটি প্রতিনিধি দল বিমানবন্দরের কাজ পরিদর্শনও করে গেছে।

কিন্তু অর্থায়ন নিয়ে জটিলতায় বিমানবন্দরের মূল নির্মাণ কাজে এগোচ্ছে না বলে সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য। 

বাগেরহাট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, “বিমানবন্দরের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু এটা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) না রাজস্ব খাতে হবে এটা নিয়ে জটিলতা আছে।”

বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলছেন, পিপিইয়ের মাধ্যমে যেসব প্রস্তাব তারা পেয়েছেন, সেগুলো ‘যুক্তিসঙ্গত নয়’। এর মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ‘সুফল মিলবে না’।

যেহেতু মোংলা বন্দর, সুন্দরবনসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খুলনা-বাগেরহাট এলাকায় আছে, তাই সরকার এখন রাজস্ব খাতেই এ প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “পদ্মা সেতুর পূর্ণতা মিললেই ওই এলাকার অর্থনৈতিক চাকা আরও সচল হবে। এ কারণে রেলপথ, নদীপথের পাশাপাশি বিমানবন্দরের চাহিদাও রয়েছে।”

আরো সংবাদ