জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বাংলাদেশের উচ্চ আদালতসহ সব আদালতে টাঙানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতের এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টাঙানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস। রিট আবেদনের শুনানিতে তিনি আদালতকে বলেন, সংবিধানের অনুচ্ছেদ (৪-ক) অনুযায়ী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টাঙানোর বাধ্যবাধকতা আছে।
আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস আদালতকে বলেন, ভারত-পাকিস্তানসহ বিশ্বের অনেক দেশেই তাদের জাতির জনকের ছবি আদালতে টাঙানো হয়ে থাকে। বাংলাদেশে সংবিধান প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আদালত তখন এই রিটকারী আইনজীবীর কাছে জানতে চান, আদালতকক্ষ পাবলিক অফিস কিনা। তখন তিনি আদালতকে বলেন, ‘হ্যাঁ, আদালতকক্ষ পাবলিক অফিস।’ আদালতও বলেন, আদালত কক্ষ পাবলিক অফিস।
রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার আদালতকে বলেন, ২০০১ সালে জাতির জনকের প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শন আইন অনুযায়ী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বাদে বাংলাদেশের সরকারি, আধা-সরকারি সব প্রতিষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টাঙানোর বাধ্যবাধকতা আছে।
শুনানি শেষে আদালত বাংলাদেশের প্রত্যেকটি আদালতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টাঙানোর নির্দেশ দেন।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার সাংবাদিকদের বলেন, আইন থাকলেও এত দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি আদালত কক্ষে টাঙানো হতো না। তবে হাইকোর্টের আজকের এই নির্দেশনা অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি আদালত কক্ষে জাতির জনকের ছবি টাঙাতে হবে। আদালতের এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে তা দুই মাসের মধ্যে তা জানাতে হবে।