আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সকাল ৯:২২

ধর্মীয় বক্তা ত্ব-হাসহ কেউই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন না

রংপুরের ধর্মীয় বক্তা আবু ত্ব-হা আদনান সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন না। পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তিনি বিশ্রামে আছেন। কারও সঙ্গে কথা বলবেন না।

আজ শনিবার সকালে রংপুর নগরের সেন্ট্রাল রোডে ত্ব-হার বাড়িতে গেলে বাড়ির লোকজন কেউ সাড়া দিতে চান না। বাড়ির ভেতর থেকে বলা হয়, ত্ব-হা ঘুমিয়ে আছেন। বিশ্রামে আছেন। আবার কখনো বলা হয়, ত্ব-হা তাঁর শ্বশুরবাড়িতে আছেন।

এরপর সেখানে থেকে ত্ব-হার শ্বশুর আজহারুল মণ্ডলের বাড়ি নগরের বাবু খা মাস্টার পাড়ায় গিয়ে খোঁজ করা হলে ওই বাড়ির লোকজনও তেমন কিছুই বলেননি। ত্ব-হা কোথায় আছেন জানতে চাইলে তা–ও জানানো হয়নি। তবে বাড়ির ভেতর থেকে একজন পুরুষ বলেন, ত্ব-হা তাঁর পরিবারের সঙ্গে আছেন। ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। তাঁর বিশ্রাম প্রয়োজন রয়েছে বলেই তিনি কারও সঙ্গে কথা বলবেন না।

এদিকে একই সঙ্গে নগরের আশরতপুরের বাসিন্দা গাড়িচালক আমির উদ্দিনের বাড়িতে গেলে একই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। আমিরের ছোট ভাই ফয়সাল হোসেন বলেন, ভাই কারও সঙ্গে কথা বলবেন না। তিনি আর কোনো মন্তব্য করেননি। এই পরিবারের আর কোনো সদস্যও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি।

আবু ত্ব-হা আদনান, দুই সফরসঙ্গী ও গাড়িচালকসহ চারজনকে উদ্ধারের পর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সংবাদ সম্মেলন করে গতকাল শুক্রবার দাবি করে, আবু ত্ব-হাসহ চারজন ব্যক্তিগত কারণে আত্মগোপনে ছিলেন।

১০ জুন রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন আবু ত্ব-হা আদনান। তাঁর মা আজেদা বেগম রংপুর কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন এর পরের দিন। নিখোঁজের আট দিন পর গতকাল তাঁকে পাওয়া যায়। তিনি সপরিবার রংপুর শহরে থাকেন।

ত্ব-হার মা আজেদা বেগম বলেছিলেন, তাঁর ছেলে অনলাইনে আরবি পড়ানোর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন মসজিদে জুমার খুতবা দিতেন। ১০ জুন বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি মসজিদে খুতবা দেওয়ার জন্য রংপুর থেকে বিকেল চারটার দিকে ভাড়া করা একটি গাড়িতে ঢাকায় রওনা দেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই সঙ্গী আবদুল মুহিত ও ফিরোজ আলম। এ ছাড়া গাড়িচালক হিসেবে ছিলেন আমির উদ্দিন। রাত ২টা ৩৬ মিনিটে আদনানকে তাঁর স্ত্রী ফোন দিলে তিনি বলেন, তিনি এখন ঢাকার গাবতলীতে আছেন। মুঠোফোনের চার্জ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এরপর থেকে আদনানসহ সবার মুঠোফোনই বন্ধ ছিল।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত