আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সকাল ৬:১৪

না ফেরার দেশে বিশিষ্ট সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক

না ফেরার দেশে চলে গেলেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের বিশিষ্ট সাংবাদিক বিশ্বাস আব্দুর রাজ্জাক।

বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।

সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাকের বড় ছেলে কামরুজ্জামান তোতা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ করে বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। শুক্রবার বাদ জুম্মা শহরের সরকারি নলডাঙ্গা ভুষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে তার নামাজে জানাজা শেষে আড়পাড়া গোরস্থানে দাফন করা হয়।

জানাজায় বক্তব্য রাখেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আজীম আনার, পৌর মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ, জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল, দৈনিক কালের কণ্ঠের ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ও ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সাবেক সভাপতি এম সাইফুল মাবুদ প্রমুখ। এছাড়া জানাজায়, শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

বিশ্বাস আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন ঝিনাইদহ জেলার একজন দিকপাল সাংবাদিক। জীবনদ্দর্শায় তিনি দৈনিক আজাদ, বাংলার বাণী, ইত্তেফাক, পূর্বাঞ্চল, জন্মভুমি পত্রিকায় নাম ডাকের সাথে সাংবাদিকতা করে গেছেন। জেলার অধিকাংশ সাংবাদিকদের হাতেখড়ি হয়েছে আব্দুর রাজ্জাকের কাছ থেকে। তার ক্ষুরাধার লেখনির কারণে কালীগঞ্জের বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়ন, অব্যবস্থাপনা দুর হয়। সমাজের ইতিবাচক অনেক পরিবর্তন আনতে তিনি সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি কালীগঞ্জ প্রেসক্লাব, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, মানবাধিকার বাস্তাবায়ন সংস্থাসহ বিভিন্ন সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। এছাড়া তিনি একাধিকবার প্রেসক্লাব, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কালীগঞ্জের ইতিহাস, ঐতিহ্য, বিশিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্টান ও ঐতিহাসিক স্থানের ওপর “কালীগঞ্জের ইতিকথা” নামে একটি বই প্রকাশ করেন।

এছাড়া তিনি মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের স্টোর অফিসার ছিলেন। চলতি বছরের প্রথম দিকে তিনি সুগার মিল থেকে অবসর গ্রহণ করেন। জীবনের শেষ বেলায় এসেও তিনি সাংবাদিকতার সাথে জড়িত ছিলেন। সর্বশেষ তিনি খোলা কাগজ নামক একটি পত্রিকায় কাজ করতেন।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন জেলার কর্মরত সাংবাদিকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত