সাগর হোসেন মুন্না : না ফেরার দেশে চলে গেলেন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী সুবীর নন্দী। মঙ্গলবার (০৭) ভোর ৪টা ২৬মিনিটে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
বুধবার (০৮) সকাল ৬টা ১০মিনিটে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজে করে সুবীর নন্দীর মরদেহ ঢাকায় আনা হবে। এরপর ওইদিন সকাল ১১টায় সর্বসাধারণের শ্রদ্ধার জন্য বরেণ্য এ শিল্পীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন খান জাহান আলী ২৪/৭ নিউজ কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বুধবার সকালে সুবীর নন্দীর মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবে। সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তার গ্রিন রোডের বাড়িতে। এরপর নেওয়া হবে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে। বেলা ১১টায় সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ রাখা হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এরপর রাজধানীর বাসাবোতে অবস্থিত বরদেশ্বরী কালীমন্দির সংলগ্ন শ্মশানে সুবীর নন্দীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।
গত ১৪ এপ্রিল সিলেট থেকে ঢাকা আসার পথে সুবীর নন্দী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৮ দিন সিএমএইচে থাকার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৩০ এপ্রিল সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয় তাকে। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে নন্দিত এই শিল্পীর বেশ কয়েকটি অঙ্গ বিকল হয়ে পড়েছিল।
সিঙ্গাপুরে নেওয়ার পর একাধিকবার হার্ট অ্যাটাক হয় সুবীর নন্দীর। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শেষ পর্যন্ত হারই মানতে হলো বাংলা গানের এ কিংবদন্তিকে।
প্রায় পাঁচ দশকের ক্যারিয়ারে সুবীর নন্দী গান গেয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি। ‘মহানায়ক’ (১৯৮৪), ‘শুভদা’ (১৯৮৬), ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ (১৯৯৯), ‘মেঘের পরে মেঘ’ (২০০৪) ও ‘মহুয়া সুন্দরী’ (২০১৫) চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে মোট পাঁচবার শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী হিসেবে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে তিনি। এছাড়া চলতি বছর তিনি একুশে পদক পান।