কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণবিক্ষোভের মুখে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা।
ওইদিনই জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, পদত্যাগ করেছেন শেখ হাসিনা। প্রায় সাত দিন পর নীরবতা ভেঙেছেন শেখ হাসিনা।সরকার পতনের পেছনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দিকে অভিযোগ করেছেন। রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য ইকোনোমিক টাইমস।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করেছি, যাতে আমাকে লাশের মিছিল দেখতে না হয়। ছাত্রদের লাশ নিয়ে তারা ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল, কিন্তু আমি তা করতে দিইনি, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি ক্ষমতায় থাকতে পারতাম যদি আমি সেন্ট মার্টিন দ্বীপের সার্বভৌমত্ব আত্মসমর্পণ করতাম এবং আমেরিকাকে বঙ্গোপসাগরের উপর কর্তৃত্ব করতে দিতাম। আমি আমার দেশের জনগণের কাছে অনুরোধ করছি, ‘দয়া করে মৌলবাদীদের দ্বারা প্রতারিত হবেন না’।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি যদি দেশে থাকতাম, তাহলে আরও প্রাণহানি হত, আরও সম্পদ ধ্বংস হয়ে যেত। আমি প্রস্থান করার জন্য অত্যন্ত কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আপনার নেতা হয়েছি কারণ আপনি আমাকে বেছে নিয়েছেন, আপনি আমার শক্তি ছিলেন’।
চলমান পরিস্থিতি নিয়ে পদত্যাগী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক নেতাকে হত্যা করা হয়েছে, কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে এবং তাদের বাড়িঘর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে এমন খবর পেয়ে আমার হৃদয় কেঁদে উঠছে…আল্লাহর রহমতে আমি শিগগিরই ফিরে আসব। আওয়ামী লীগ বারবার উঠে দাঁড়িয়েছে। আমি চিরকাল বাংলাদেশের জন্য প্রার্থনা করব, যে জাতির জন্য আমার মহান পিতা সংগ্রাম করেছিলেন। যে দেশের জন্য আমার বাবা ও পরিবার তাদের জীবন দিয়েছে’।
কোটা আন্দোলন ও রাজাকার মন্তব্যে হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের যুব ছাত্রদের আবারও বলছি, আমি তোমাদের রাজাকার বলিনি। আমার শব্দ বিকৃত করা হয়েছে অশান্তি উসকানোর জন্য। আমি অনুরোধ করছি, সেদিনের পুরো ভিডিও দেখ। তোমাদের সারল্যের সুবিধা নিয়েছে ষড়যন্ত্রকারীরা এবং দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে তোমাদের ব্যবহার করা হয়েছে।’