আজ - সোমবার, ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি, (বসন্তকাল), সময় - রাত ৮:৩১

নৈশ প্রহরি থেকে মেয়র হলেন সাইদুর

তানোর মুন্ডুমালার নবনির্বাচিত মেয়র সাইদুর রহমান। পেশায় একটি কলেজের নৈশপ্রহরী। কলেজ থেকে নির্বাচন করার জন্য ছুটি নিয়েছিলেন ১৫ দিন। পৌর আওয়ামী লীগে ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক পদে। দল নিষেধ সত্ত্বেও নির্বাচনে অটল ছিলেন তিনি। এজন্য দল থেকে বহিষ্কারও হতে হয়েছে তাকে। তারপরও অদম্য ইচ্ছা শক্তির জেরে তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে মুন্ডুমালা পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন সাইদুর রহমান।

আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আমির হোসেন আমিনকে ৬১ ভোটে হারিয়ে হয়েছেন পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র।

সাইদুর রহমান মুন্ডুমালা মহিলা ডিগ্রি কলেজের নৈশপ্রহরী পদে চাকরি করেন। ১৫ দিনের ছুটি নিয়ে তিনি ভোটে এসেছিলেন। পেশায় নৈশপ্রহরী হলেও আওয়ামী লীগে সক্রিয় ছিলেন সাইদুর। মেয়র পদে নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মনোনয়ন না পেয়ে দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। নির্বাচনে থাকায় পৌর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাকে বহিষ্কারের কথাও জানানো হয়।

নির্বাচনে সাইদুর রহমান জগ প্রতীকে ৫ হাজার ৪৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আমির হোসেন আমিন পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৯৮ ভোট। বিএনপির প্রার্থী ফিরোজ কবির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৮১ ভোট।

শনিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. কামরুজ্জামান মুন্ডুমালার নির্বাচনের এই ফলাফল ঘোষণা করেন।

নবনির্বাচিত মেয়র সাইদুর রহমান বলেন, ‘পেশায় আমি সামান্য নৈশপ্রহরী হতে পারি কিন্তু মানুষের জন্য আমার ভালোবাসা অফুরন্ত। তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত করোনাকালে এলাকার মানুষের পাশে থাকা ও তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে যাওয়া।’

তিনি বলেন, ‘যতটুকু পেরেছি সাধ্যমতো এলাকার মানুষের সাহায্যে এগিয়ে গেছি। মানুষ ভালোবেসে আমাকে পৌর মেয়র করেছেন। এজন্য কৃতজ্ঞ তাদের প্রতি।’

দলের বিষয়ে সাইদুর রহমান বলেন, ‘ইচ্ছা ছিল দল থেকে মনোনয়ন নিয়ে মানুষের সেবা করার। কিন্তু দল থেকে মনোনয়ন চেয়েও পাইনি। তাই পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছি। কারণ, দল থেকে না পারি মেয়র হয়ে অন্তত মানুষের সেবা করতে পারব বলে আশা করি।

আরো সংবাদ