আজ - শনিবার, ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ১:২৪

পথ শিশু জান্নাতুল মওয়া আবৃত জেলা প্রশাসকের স্নেহের চাদরে।

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ ‘ইজিবাইকে বাবার সাথে দিন কাটানো জান্নাতুল মাওয়া’কে কাছে ডেকে স্নেহের পরশ দিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল। তাকে আদর করে শুনলেন তার কথা। কথা বললেন মাওয়া’র বাবা ইজিবাইক চালক মুরাদুর রহমান মুন্না’র সাথে। মাওয়া’র শৈশব ফিরিয়ে দেয়ার ভাবনার কথাও জানালেন যশোরের জেলা প্রশাসক।

যশোর শহরের নাজির শংকরপুর চাতাল মোড় এলাকার একটি ইজিবাইক চার্জের গোডাউনে থাকেন ইজিবাইক চালক মুরাদুর রহমান মুন্না। সারদিন তিনি ইজিবাইক চালান, আর রাতে ওই গোডাউনে থাকেন। মুন্নার একমাত্র সন্তান জান্নাতুল মাওয়া (৬)। মাওয়া’র মা স্বামী-সন্তানকে ছেড়ে চলে গেছে। তাই মাওয়াকে পাশে বসিয়ে সারাদিন ইজিবাইক চালান মুন্না। কারণে মেয়েটিকে রেখে যাওয়ার কোনো স্থান তার নেই। ফুটফুটে মায়াবি শিশুটি তাই সারাদিন বাবার পাশেই থাকে। ‘ইজিবাইকে ঘুরে হোটেলে খাওয়া-দাওয়া, আর রাতে গোডাউনে ঘুম’ এই চক্রে বাধা পড়ে গেছে মাওয়ার জীবন।

এ সংক্রান্ত ছবি ও রিপোর্ট ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় মঙ্গলবার তাদের ডেকে নেন যশোরের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল। সর্দি-জ্বর হওয়ায় তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধও কিনে দেন তিনি। পরে মাওয়াকে আদর করে উপহার দেন জেলা প্রশাসক। এ সময় তিনি মুন্নার সাথেও কথা বলেন। মুন্না জেলা প্রশাসককে বলেন, তার স্ত্রী তাদের ছেড়ে চলে গেছে। মেয়েটি বড় হচ্ছে, তাকে স্কুলে ভর্তি করতে হবে। এ জন্য তার একটি মাথা গোঁজার ঠাঁই দরকার। জেলা প্রশাসক তাকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন। মেয়েটি যাতে তার স্বাভাবিক শৈশব জীবন ফিরে পায় সেটি নিশ্চিত করার ব্যাপারেও আশ্বস্ত করেন।

মুরাদুর রহমান মুন্না বলেন, ‘ডিসি স্যার তাকে ডেকে নিয়ে তার ও মাওয়ার কষ্টের কথা শুনেছেন। তিনি অনেক স্নেহ-ভালবাসা দেখিয়েছেন। সহযোগিতা পেলে তিনি মেয়েটিকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মত মানুষ করতে চান।

আরো সংবাদ