আজ - বুধবার, ৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সন্ধ্যা ৬:৫৬

পাওনা টাকা চাওয়ায় প্রতিপক্ষের হাতে প্রান গেলো বৃদ্ধ রহিমার।

যশোরের শার্শায় ছেলের পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে প্রতিপক্ষের মারধরের শিকার রহিমা খাতুনের (৬০) মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত রহিমা শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ার পিঁপড়াগাছি গ্রামের মৃত নবী ছদ্দীন গাজীর স্ত্রী। ঘটনার সাথে জড়িত যুবক ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে গেছে।
নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, রহিমা খাতুনের ছেলে মিজানুর রহমানের কাছ থেকে কয়েকমাস আগে কিছু টাকা ধার নেন প্রতিবেশী আব্দুস সামাদের ছেলে অপু। পরে টাকা পরিশোধে তালবাহানা শুরু করে। টাকা চাইলেই আজ না কাল করতে থাকে। যা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে বাড়ির পাশে মাঠে গাছ থেকে কলা পাড়তে যাচ্ছিলেন রহিমা। পথিমধ্যে অপুর সাথে তার দেখা হয়। তখন অপুর কাছে তার ছেলের পাওনা টাকা দাবি করেন। এই নিয়ে দুইজন বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এ সময় অপু ক্ষুব্ধ হয়ে রহিমাকে মারধর করে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার ওপর ফেলে দেন। এতে মাথায় আঘাত পান রহিমা।
পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। ভর্তির কিছু সময় পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রহিমা।
হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাথায় প্রচণ্ড আঘাত লাগার কারণে রহিমা খাতুনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে গোলযোগে দেনাদারের মারধরে পাওনাদের মা রহিমা খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ঘটনার সাথে জড়িত যুবক অপু ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে। অপুকে আটকের চেষ্টা চলছে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত