আজ - সোমবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১:৩৭

পাবজি, ফ্রি ফায়ারের মতো ক্ষতিকর গেম বন্ধের নির্দেশ

দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পাবজি ও ফ্রি ফায়ারের মতো ক্ষতিকারক গেম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন।

দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার, লাইকিসহ এ ধরনের অনলাইন গেম ও অ্যাপ বন্ধ করে অবিলম্বে অপসারণের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে গত ২৪ জুন মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে রিটটি করা হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।বিজ্ঞাপনবিজ্ঞাপন

আদেশের বিষয়টি জানিয়ে আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির প্রথম আলোকে বলেন, দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পাবজি ও ফ্রি ফায়ারের মতো ক্ষতিকারক গেমের লিংক-গেটওয়ে তিন মাসের জন্য বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাবজি, ফ্রি ফায়ার, লাইকি, বিগো লাইভসহ ক্ষতিকারক সব গেম ও লাইভ স্ট্রিমিং অ্যাপ দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে অপসারণ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অনলাইন গেমস-অ্যাপ তদারকি এবং এ বিষয়ে গাইডলাইন তৈরি করতে কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন একটি কমিটি গঠন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।বিজ্ঞাপন

ডাক ও টেলিযোগাযোগসচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, শিক্ষাসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিবাদীদের ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান মোহাম্মদ হুমায়ন কবির।

ওই সব গেম ও অ্যাপের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে তা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়ে ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ১৯ জুন সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের জবাব না পেয়ে রিটটি করা হয়।

রিটে বলা হয়, পাবজি ও ফ্রি ফায়ারের মতো গেমে দেশের যুবসমাজ ও শিশু-কিশোরেরা আসক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে সামাজিক মূল্যবোধ, শিক্ষা–সংস্কৃতি বিনষ্ট হচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়ে পড়ছে মেধাহীন। অন্যদিকে টিকটক ও লাইকির মতো অ্যাপ ব্যবহার করে দেশের শিশু-কিশোর ও যুবসমাজ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। জড়িয়ে পড়ছে অপরাধে। দেশে কিশোর গ্যাংয়ের সংস্কৃতি তৈরি হচ্ছে। সম্প্রতি নারী পাচারের ঘটনা এবং দেশের বাইরে টিকটক, লাইকি ও বিগো লাইভের মাধ্যমে অর্থ পাচার হয়েছে, যা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক, দেশের জনস্বার্থ, শৃঙ্খলা ও মূল্যবোধের পরিপন্থী।

আরো সংবাদ