আজ - মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ১২:০৬

পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের উদ্যোগ যশোর জেলা আ.লীগের

সম্মেলনের পর নয় মাস পার হলেও পূর্নাঙ্গ কমিটি হয়নি যশোর জেলা, সদর ও শহর আওয়ামী লীগের। যে সব জেলায় সম্মেলন হয়েছে তাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এ নির্দেশনার পর কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। কমিটিতে স্থান করে নিতে অনেকেই নিজ নিজ চ্যানেলে যোগাযোগ শুরু করেছেন। জেলা কমিটিতে পদ পাবেন ত্যাগী প্রবীণরা না তরুণ নেতারা তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা কল্পনা।

২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর  যশোর টাউন হল মাঠে সদর ও শহর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সদর উপজেলা কমিটিতে মোহিত কুমার নাথকে সভাপতি ও শাহারুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদকে সভাপতি ও এসএম মাহমুদ হাসান বিপুকে শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এই দুটির সম্মেলন শেষ হওয়ার দশ দিন পর অনুষ্ঠিত হয় যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলনকে সভাপতি ও শাহীন চাকলাদারকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। একই সাথে ৭১ সদস্যের কমিটির সহসভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ২২টি পদের নাম  ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক। এরপরে কমিটির বাকি পদগুলো পূরণের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের দায়িত্ব ছিল খুলনা বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মোজাম্মেল হক ও বাহাউদ্দীন নাসিমের উপর। জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলন নিয়ে নেতারা ব্যস্ত ছিলেন। এরপর দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। যেহেতু পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা এসেছে সেহেতু কমিটি গঠন করা হবে। নির্দিষ্ট সময়ে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করে পাঠানো হবে।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ বলেছেন কেন্দ্র থেকে যে নির্দেশনা দিয়েছে সেটা করা হবে। কমিটি বছরের পর বছর ঝুলে থাকা ঠিক না । দলকে গতিশীল করার জন্য যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতা নির্বাচিত হওয়া উচিৎ।

শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বলেছেন জেলা কমিটি শহর ও সদর উপজেলা কমিটি অনুমোদন দেয়। এ কারনে জেলা আওয়ামী লীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি হওয়ার পর শহর আওয়ামী লীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি করা হবে। তবে দলের সাধারণ নেতাকর্মীরা বলেছেন দলের পূর্নাঙ্গ কমিটিতে ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের পদ দেয়া উচিৎ। পদে যেন অনুপ্রবেশকারীদের ঠাঁই দেয়া না হয়। তাহলে দল গতিশীল হবে।

 

আরো সংবাদ