আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সকাল ৯:২৮

সকলকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করতে হবে : শাহারুল ইসলাম

দোয়া মাহফিল ও খাদ্য সহায়তা প্রদানের কর্মসূচি হিসাবে আগস্টের ১৪ তম দিনে শুক্রবার বিকাল ৪ টায় জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৫তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আরবপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড মন্ডলগাতি গ্রামে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন যশোর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আরবপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম। দোয়া শেষে তিনি ১০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

খাদ্য সামগ্রী বিতরণের সময় তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপি মহামারী করোনা ভাইরাস ও বাংলাদেশের প্রায় ৩১ জেলায় বণ্যা কবলিত হওয়ায় জাতীয় শোক দিবস ১৫ই আগষ্ট উপলক্ষে তবারক বিতরণের পরিবর্তে সমগ্র ইউনিয়নে মাস ব্যাপি দোয়া মাহফিল ও নিন্ম আয়ের পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন অব্যাহত রাখবেন।

এসময় তিনি তার সকল রাজনৈতিক কর্মিকে উদ্দেশ্যে করে বলেন এই আগস্টকে কেন্দ্র করে কারও কাছ থেকে অর্থ আদায় করা যাবে না। কেউ যেন আমাদের বলতে না পারে এই করোনা মহামারির মধ্যে আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দোয়া মাফিল করার জন্য অন্যের নিকট চাঁদাবাজি করছি। আমরা তার আদর্শে এই মহামারির সময় দরিদ্র অসহায় মানুষের সাহায্যে নিজ থেকে এগিয়ে আসব।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য সকলের নিকট দোয়া চেয়ে সকলের উদ্দেশ্যে বলেন দূর্যোগের এই সময়ে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীকে শিক্ষা উপবৃত্তি, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা, গর্ভবতী ভাতা, বিভিন্ন ত্রান-সাহায্য, যার জমি আছে ঘর নেই তাকে ঘর তৈরী করে দেওয়া সহ দেশের উন্নয়নে বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা সকলে প্রতিদিন তার জন্য দোয়া করব তিনি যেন সব সময় সুস্থ থাকেন। সুস্থ থেকে রাষ্ট্রের সকল প্রকার উন্নয়ন করে যেতে পারেন।

যশোর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আরবপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম বলেন ৭৫’এর ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তার আদর্শ মুছে ফেলতে পারেনি। তার আদর্শ আমাদের সকলের মধ্যে ধারন করতে হবে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু লাল-সবুজ পতাকার মাঝে নিহিত থাকবেন।

বঙ্গবন্ধু আজীবন বাংলার নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। তার বজ্র কণ্ঠে শানিত হয়ে নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র হয়েছিলো। রক্ত দিয়ে স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে এনেছিলো। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবার হত্যার মধ্যদিয়ে স্বাধীনতার স্বপ্ন যাত্রা বন্ধ করে দেয়া হয়ে ছিলো। কিন্তু এদেশের মানুষের গণরায় ও ভালোবাসায় বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সেই সোনার বাংলা গড়ে উঠছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন গ্রামের একজন সাধারন ছেলে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার মতো অজপাড়াগাঁয়ের কাদাপানিতে তাঁর বেড়ে ওঠা। নিজে একেবারে দরিদ্র পরিবারের সন্তান না হলেও তৎকালীন গ্রামীণ দারিদ্র্য দেখেছেন খুব কাছ থেকে। মানুষের অভাব-দারিদ্র্য সইতে পারতেন না। বালক বেলা থেকেই নিজেদের গোলার ধান চুপিসারে বিলিয়ে দিতেন গরিবদের মাঝে। গায়ের চাদর খুলে দিয়েছেন শীতে কষ্ট-পাওয়া গ্রামীণ মানুষকে। থাকা এবং না-থাকার বিষয়টি তাঁকে ছোট বেলা থেকেই ভাবিত ও তাড়িত করেছে। বঙ্গবন্ধুর এমন আদর্শ আমাদের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে। গরীব আসহায়দের জন্য এগিয়ে আসতে হবে। মানবতার জন্য সব সময় কাজ করতে হবে। এটা আমার জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শিক্ষা।

তিনি আরও বলেন, ৭৫ পরবর্তী সামরিক জান্তা জিয়াউর রহমান আইন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করে রেখেছিল। দেরিতে হলেও জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার করে জাতির কলঙ্কমুক্ত করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। এখনো কয়েক খুনি পলাতক রয়েছে। পলাতক বাকি খুনিদের ফিরিয়ে এনে দ্রুত রায় কার্যকর এখন সময়ের দাবি। একই সঙ্গে খুনিদের যারা প্রশ্রয় দিয়েছে, পুরস্কৃত করেছে, তাদেরও বিচার আওতার আনার দাবি জানাচ্ছি। একটি খুনি ও তাদের দোসররা বেঁচে থাকা পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সকল সংগঠন ও অঙ্গ সংগঠন রাজপথে সরব থাকবে।

আলোচনা অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা মীর হোসেন খান এবং সভা সঞ্চালনা করেন আরবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নুর ইসলাম নুর।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আরবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ যুগ্ম আহবায়ক ইকরামুল কবির রবিউল, সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য সালমা পারভীন কেয়া, আরবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা কার্তিক চন্দ্র পাল, দাউদ, সুবহান হাওলাদার, সুরত, আশিকুর, মকবুল হোসেন, সাইফুল, সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ, নজরুল ইসলাম।

আরবপুর ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী সুমি আক্তার, জেসমিন, লাভলী, সেলিনা, এনি, ইতি, আকলিমা, রুমা।

আরবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, আরবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের অন্যতম নেতা রবিউল ইসলাম মিন্টু, রানা সর্দার, নাজমুল সর্দার, ৫ নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক কালিম, ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি ফারুক হোসেন খান, তফেল বাবু, আশরাফুল ইসলাম আশা, সুমন পাটোয়ারী,শুকুর আলী, সুমন, মফিজুর রহমান, মিন্টু, বাদশা, বাবলু, বিল্লাল আলমগীর, রতন, জাহাঙ্গীর, আজগর, আরাফাত, বাবুল।

ছাত্রলীগ তারেক হাসান দিপু, শিমুল, সজিব, আরাফান শাকিল, শান্ত, র‍য়েল, সোহেল, আলামিন, ইমন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

 

 

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত