আজ - মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - বিকাল ৩:৪১

বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী

রাজধানী ও পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলার মধ্যে রেল যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবল লাইন ডুয়েল গেজ বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। খবর ইউএনবির

যমুনা নদীর ওপরে বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে নির্মিত হচ্ছে ডাবল লেনের এই রেললাইন সেতু। নির্মিত হলে এটি হবে দেশের বৃহত্তম রেলসেতু।

প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকায় ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার উজানে এই রেলসেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৪ সালের আগস্টে নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে, রেলসেতুর দৈর্ঘ্য হবে চার দশমিক আট কিলোমিটার। নদীর দুই তীর থেকে দুটি পৃথক প্যাকেজে নির্মাণ কাজ চলবে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে যমুনায় পৃথক রেলসেতু নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদন পায়। সে সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা। গত মার্চে প্রকল্প সংশোধন করে ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। কাজ শুরুর আগেই ব্যয় বেড়েছে সাত হাজার ৪৬ কোটি টাকা।

বঙ্গবন্ধুর নামে রেলসেতু নির্মাণে জাইকা ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে। বাকি চার হাজার ৬৩১ কোটি টাকা জোগান দেবে সরকার।

বঙ্গবন্ধু রেলসেতুতে ডাবল লাইন ডুয়েল গেজ রেললাইন থাকবে। দুই প্রান্তে আধা কিলোমিটার করে ভায়াডাক্ট এবং সাড়ে সাত কিলোমিটার সংযোগ লাইন নির্মাণ করা হবে। লুপ ও সাইডিংসহ প্রায় ৩০ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হবে।

যমুনা নদীর ওপর ১৯৯৮ সালে বহুমুখী সেতু নির্মাণ করা হয়। এতে সড়কের পাশাপাশি সিঙ্গেল লাইন রেলপথ রয়েছে। এ কারণে সেতু পারাপারে ট্রেনগুলোকে ক্রসিংয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। নতুন রেলসেতু নির্মাণের পর ক্রসিংয়ের অপেক্ষা থাকবে না। ট্রেনের রানিং টাইম ২০ মিনিট কমবে। ব্রডগেজ ট্রেন ১২০ কিলোমিটার, মিটারগেজ ট্রেন ১০০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে। দিনে ৮৮টি ট্রেন চলতে পারবে।

আরো সংবাদ