আজ - শনিবার, ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ৩:৩৯

বসুন্দিয়া ইজিবাইক চালক হত্যায় জড়িত ২ জন আটক।

নিখোজের দু’দিন পর,মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় যশোরের বসুন্দিয়া সদুল্লাপুরে ভৈরব নদের শাখা নদী থেকে প্রেমবাগের নিখোঁজ ইজিবাইক চালক ইমনের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিকে, হত্যায় জড়িত দু’ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে।মাছ ধরার কথা বলে ইমনের ইজিবাইক ভাড়া করে ছিনতাইকারীরা। সারাদিন সময় কাটিয়ে ওই ইজিবাইক ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে তারা। সন্ধ্যার পর তাকে জগন্নাথপুরের একটি বাগানে নিয়ে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর মরদেহ বস্তায় ভরে সদুল্লাপুরে এনে নদীতে ফেলে পালিয়ে যায় তারা। আটকের পর এসব তথ্য জানিয়েছে ছিনতাইকারী চক্রের দু’সদস্য জগন্নাথপুরের মোশারফ ফকিরের ছেলে রাকিব হোসেন ও প্রেমবাগ বাবলাতলার নওয়াব আলীর ছেলে মিরাজ শেখ। ইমন অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের আবুল কালামের ছেলে।

নিহতের পিতা আবুল কালাম জানান, গত ২৮ এপ্রিল ভোর ছয়টায় ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় ইমন। এরপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। ইজিবাইক স্ট্যান্ডে খোঁজ নিলে অন্য চালকরা জানায়, ইমন বসুন্দিয়ার দিকে ভাড়া নিয়ে যেতে দেখেছে তারা। এ ঘটনায় তিনি সোমবার সন্ধ্যায় অভয়নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সর্বশেষ,মঙ্গলবার সকালে পুলিশের কাছ থেকে ছেলের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন।

স্থানীয়রা জানান,মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নদীর পাড় থেকে প্রচন্ড দুর্গন্ধ পায়। পরবর্তীতে তারা একটি বস্তায় ভরা এক যুবকের লাশ ভাসতে দেখে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ফিঙ্গার প্রিন্ট ও ইমনের কাছে থাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করে। এরপর প্রশাসনের একাধিক টিম আসামিদের আটকে অভিযানে নামে। কোতোয়ালি থানা পুলিশ ও ডিবির যৌথ অভিযানে মরদেহ উদ্ধারের দু’ঘন্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়।

এ বিষয়ে যশোর ডিবি পুলিশের এসআই খান মাইদুল ইসলাম রাজীব বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আটক দু’আসামি জানায়, তারা পূর্বপরিচিত। এর আগে একবার ইমনের বাইক তারা ভাড়া করে সারাদিন ঘুরে বেড়ায় এবং মাছও ধরে। ওইদিনও মাছ ধরবে বলে আগে থেকেই ঠিক করে। এরপর ২৮ এপ্রিল সকালে বের হয় ইমন। পরে ওই দু’জন ইজিবাইক নিয়ে প্রথমে যায় ফতেপুরের নিমতলা নদীর পাড়ে। সেখানেই তারা সারাদিন কাটায়। সেখান থেকে তারা সন্ধ্যায় রওনা দেয় । বাসুন্দিয়ার জগন্নাথপুর গ্রামে পৌঁছে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ইমনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে । রাতে মরদেহ একটি সাদা প্লাষ্টিকের বস্তায় ভরে সদুল্লাপুর এসে নদীতে ফেলে দিয়ে ইজিবাইক নিয়ে পলিয়ে যায়। পুলিশ নিহত ইমনের কাছে থাকা মোবাইল ফোনের কললিস্ট দেখে ওই দু’যুবকের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে। এরপর ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কাহিনী স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় তারা।

আরো সংবাদ