আবুল বারাকাত : বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন এখন ’টক অব দ্য টাউন’ এ পরিণত হয়েছে। হাট-বাজার, অফিস, পাড়া-মহল্লা অথবা চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ওয়ালে পছন্দের প্রার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন প্রচারণামূলক পোষ্টে সরগরম নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়।
শোনা যচ্ছে আগামী মাসের ১০ তারিখে হতে পারে বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপ-নির্বাচন। ইতিমধ্যে যশোর বাঘারপাড়া উপজেলাধীন প্রায় ১০ অধিক প্রার্থীর পক্ষে নানামুখী প্রচারণা করছেন প্রার্থীদের ভক্ত অনুরাগীরা।
স্থাণীয় ভোটারদের চাওয়া বাঘারপাড়া উপজেলার শুণ্য পদে তরুন ও শিক্ষিত নেতৃত্ব। এ অঞ্চলের তৃণমূল মানুষের চাওয়া, আলোচনা এবং প্রচারণায় অনেক এগিয়ে যশোর জেলা পরিষদ সদস্য এবং প্রাক্তন ছাত্রলীগের নেতা ইঞ্জিনিয়ার বিপুল ফরাজী।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সাথে কথা বলে জানা যায়, তরুণ শিক্ষিত এবং ক্লিন ইমেজধারী বর্তমান জেলা পরিষদের সদস্য বিপুল ফরাজী ইতিমধ্যেই নীতি ও আদর্শের সাথে গত কয়েকবছর জেলা পরিষদের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এর আগে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিপুল ফারাজী বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ পরিবারে অত্যান্ত জনপ্রিয় একটি নাম। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মনে করেন যশোর জেলা পরিষদের সদস্য বিপুল ফরাজী বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদ উপ- নির্বাচনে নৌকা প্রতিক পাওয়ার একজন যোগ্য প্রার্থী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিপুল ফারাজী কে নৌকার প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করলে বিপুল ফারাজীকে সাথে নিয়ে বাঘারপাড়া উপজেলাকে এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখেন এ অঞ্চলের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি।
স্থাণীয় একজন আওয়ামীলীগ নেতা বলেন, বিপুল ফারাজী আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেলে তৃণমূল নেতাকর্মী সহ দল মত নির্বিশেষে সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতিতে উৎসবমূখর পরিবেশে ভোটের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ভোটে বিজয়ী হবেন। তিনি আরও বলেন, বিপুলের সবচেয়ে বড় শক্তি তার শিক্ষা ও পরিচ্ছন্ন মানুসিকতা। তাছাড়াও স্বচ্ছতার সাথে দীর্ঘদিন রাজনীতি চর্চা করার কারণেই বিপুল ফারাজীকে বাঘারপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই বাঘারপাড়া বাসী।
ইতিমধ্যে বিপুল ফারাজীর বড় ধরনের একটি শোডাউন দেখেছে বাঘারপাড়া বাসী। ফেসবুকে তার কর্মী সর্মথকরা ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন। নিজেই একটি বলয় তৈরি করে বাঘারপাড়ার রাজনীতিতে অনেকটা চমক দেখিয়েছেন তিনি। তার প্রার্থী হওয়ার খবরে স্থানীয় রাজনীতিতে নয়া মেরুকরণ আভাস মিলেছে। বিপুল ফারাজি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের অনুসারী বলে পরিচিত।
বাঘারপাড়া উপজেলা উপ-নির্বাচনে প্রার্থী তালিকায় আরও আছেন সংসদ সদস্য রণজিৎ রায়ের বড় ছেলে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রাজীব রায়, গত উপজেলা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলি, নাজমুল ইসলাম কাজলের স্ত্রী ও বাঘারপাড়া উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ভিক্টোরিয়া পারভীন সাথী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রউফ, রায়পুর ইউনিয়নের একাধিকবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান মঞ্জুর রশিদ স্বপন, জহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের চেয়ারম্যান দিলু পাটোয়ারী।
এরমধ্যে মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী, আব্দুর রউফ ও মনজুর রশীদ স্বপন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে একবার করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তারা কেউই জয়লাভ করতে পারেননি। উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রাজীব রায় ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক চেয়ে ব্যর্থ হন।
এর আগে উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম কাজল সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে হবিগঞ্জের মাধবপুরের নোয়াপাড়ায় ট্রাক ও জিপের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনিসহ চার জন নিহত হন। গত উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন নাজমুল ইসলাম কাজল। এর পর বাঘারপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদটি শুণ্য হয়।