আজ - রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সন্ধ্যা ৬:১৬

বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জুর পদ্মা সেতু নিয়ে স্টাটাস

খুলনা প্রতিনিধিঃ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের বহুল আকাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু নির্মাণ হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

“গত ১৮ মে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনাসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে বক্তৃতায় খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূসের সমালোচনা করেন। পদ্মা সেতুকে জোড়াতালি বলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সেতুর ওপর থেকে পদ্মা নদীতে ফেলে দেওয়ার কথা, আর টাকা বন্ধের চেষ্টা করায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পদ্মা নদীতে চুবানোর কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা”

ঠিক ওই দিন রাত ৭টা ৩৯ মিনিটে বিএনপি নেতা মঞ্জু ফেসবুকে পদ্মা সেতু নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন।

নজরুল ইসলাম মঞ্জুর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলো ধরা হলো— ‘এক মাস ৭ দিন পর হারিয়ে যাবে আমাদের চিরচেনা পথের অনেক কিছু। স্মৃতিতে অম্লান হয়ে থাকবে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মা নদী পারাপারের মাওয়া-কাঁঠালবাড়ী ঘাট। উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আগামী ২৬ জুন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের প্রত্যাশার পদ্মা ব্রিজ।

এর পর মানুষের স্মৃতিতে থাকবে মাওয়া-কাঁঠালবাড়ী ফেরি লঞ্চ ও স্পিডবোটে পারাপারের ৩০ বছরের স্মৃতি। গল্প হয়ে থাকবে আমাদের দুঃখ-সুখ বেদনার ও তিক্ত অভিজ্ঞতার নানান কাহিনি। ঘুরে ফিরে আসবে আমাদের সামনে এবং আমরা বলব আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ওই তো ওখান দিয়েই আমরা পার হতাম প্রমত্তা পদ্মা নদী। শীত, গ্রীষ্ম ও বর্ষা কখনও ঘন কুয়াশা কখনও প্রচণ্ড খরতাপে কখনও ঝড়বৃষ্টিস্নাত রাতে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার হলেও একটা অ্যাডভেঞ্চার ছিল, যাত্রায় গরম গরম ডিম-পরোটা, সিদ্ধ ডিম, ঝালমুড়ি, চা গরম, ফেরিঘাটে অথবা লঞ্চে ইলিশ মাছ দিয়ে ভাত খাওয়া সব হারিয়ে যাবে এই ভেবে আজ পদ্মা পার হওয়ার সময় মনটা মাঝে মাঝে খারাপ লাগছিল।

তার পরও ভাবনায় আসে আমাদের পদ্মা ব্রিজ, এক্সপ্রেসওয়ে ও ভাঙ্গা ফ্লাইওভার প্রাপ্তিতে আমরা সৌভাগ্যবান। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে। আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা, আল্লাহ মহান।

গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর খুলনা জেলা ও মহানগর কমিটি গঠন নিয়ে দলের সিদ্ধান্তে আপত্তি তোলায় নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর আগে দীর্ঘদিন ধরে খুলনার রাজনীতি একহাতে নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলেন মঞ্জু।

আরো সংবাদ