আজ - বুধবার, ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ৮:২৪

বিজেপি জিতছে না তাতেই খুশি কংগ্রেস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো একটি আসনও হাসিল করতে পারেনি কংগ্রেস। অথচ সেই ব্যর্থতায় মুষড়ে না পড়ে দলটি রয়েছে স্বস্তিতে। 

তারা বলছে, নিজেরা একটি আসন না পেলেও শেষ পর্যন্ত দিল্লি বিধানসভার মসনদে বসছে না বিজেপি। আর তাতেই স্বস্তি।

১৯৯৯ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে শিলা দীক্ষিতের নেতৃত্বে দিল্লিতে তিন মেয়াদে রাজত্ব করে কংগ্রেস। কিন্তু আজ তা অতীত। ২০২০ সালের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস একটি আসনও পায়নি। খবর এনডিটিভির

বুথ ফেরত সমীক্ষাকে সত্যি করে ফের দিল্লিতে আদ আদমি পার্টির (এএপি) জয় জয়কার। যদিও ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে দিল্লিতে এবার অনেকগুলি বেশি আসন পেয়েছে আম আদমি পার্টির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি।

২০১৫ সালে এএপি ৭০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৬৭টি আসন পেয়েছিল, বিজেপি পায় মাত্র ৩টি আসন, তবে কংগ্রেস সেবার একটিও আসন পায়নি, এবারও সেই ছবি বদলাতে পারল না দলটি। 

দিল্লিতে যেভাবে জনসমর্থন জোগাড় করতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে কংগ্রেস তা নিয়ে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। 

অনেকে বলছেন, নির্বাচনে কোনো বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারেনি কংগ্রেস। একমাত্র বিজেপি ও এএপির পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সামান্য কিছু মশলা জোগানো ছাড়া আর কোনো দিক থেকেই নজর কাড়তে পারেনি তারা। 

বহু কংগ্রেস নেতাই রাজধানীর রাজনীতিতে শীলা দীক্ষিতের অভাব বোধ করছেন। কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি বলেন, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এখানে আমরা শীলা দীক্ষিতের অভাব খুব বেশি করে বোধ করছি।  আমরা একজন অভিজ্ঞ নেত্রীকে হারিয়েছি এবং তারপরে আর আমরা অন্য কাউকে তেমনভাবে নেতা হিসেবে এখানে পাইনি।’ গত বছর প্রয়াত হন ডাকসাইটে কংগ্রেস নেত্রী শীলা দীক্ষিত।

তিনি আরও বলেন, ‘বিজেপি যে জিততে পারছে না এখানে তাতে আমি খুশি। এএপির জয় আমার কাছে তুলনামূলকভাবে কম হতাশার। তারা অন্তত দিল্লির শিক্ষাক্ষেত্রে কিছু ভাল কাজ করেছে।’

আরেক নেতা সঞ্জয় ঝা জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্বের সংকট এবং রাহুল গান্ধীর সরে যাওয়াকেও কংগ্রেসের খারাপ ফলের কারণ হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, ‘এটা সত্যি, আমরা এখনও আমাদের নেতৃত্বের বিষয়টির সমাধান করতে পারিনি। এই ঘটনা দলের সদস্যদের হতাশায় ফেলেছে।’

তিনি বলেন, আমরা কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে দলকে হতাশ করছি। কংগ্রেসের পক্ষে ফিরে আসার এর চেয়ে ভালো সময় আর হতে পারে না।

আরো সংবাদ