আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সন্ধ্যা ৭:৪৭

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আ’লীগ নেতা বাবু করোনা আক্রান্ত।

স্টাফ রিপোর্টার : যশোরে আজ করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসা ব্যক্তিদের মধ্যে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মীর মোশাররফ হোসেন বাবু রয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কেন্দ্রীয় বাসটারমিনালের কাছে জিডিএল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন; যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিকে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারণ করা হয় আগেই।
এছাড়া শনাক্তদের মধ্যে ব্যাংকার, র‌্যাব সদস্য, পুলিশ সদস্য, ডাক্তার, ছাত্রী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ রয়েছেন।
ব্যবসায়ী নেতা মীর মোশাররফ হোসেন বাবু আজ শনিবার সন্ধ্যায়  জানান, গেল কয়েকদিন ধরে তার জ্বর ও কাশি রয়েছে। সেই অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার তার ও তার ২৫ বছর বয়সী ছেলে মীর মোহতেশাম হোসেন সিজানের নমুনা দেওয়া হয় পরীক্ষার জন্য।
আজ আসা ফলাফলে দেখা যায়, তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। ছেলে সিজানের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
বিশস্ত সূত্র গুলো জানায়  যশোর সিটি ক্যাবলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও স্বর্ণলতা জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী মীর মোশাররফ হোসেন বাবু। এই ব্যবসায়ী নেতা কোভিড-১৯ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছিলেন। তাদের পরামর্শেই বাবু জিডিএল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
বাবু জানান, শারীরিকভাবে তিনি বেশ সুস্থ আছেন। মনোবলও চাঙ্গা রয়েছে। অল্প কিছু সময়ের মধ্যে তিনি গ্রিন ড্রিম লিমিটেডের (জিডিএল হাসপাতাল) উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন।  তিনি তার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে আজ শনাক্তদের মধ্যে আরো আছেন আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মী (৩৮), যার বাড়ি যশোর শহরের খড়কি হাজামপাড়া হলেও অবস্থান করেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে।
আক্রান্ত হয়েছেন ব্যাংকএশিয়ার দুই কর্মী। এদের মধ্যে যশোর শাখায় কর্মরত একজনের (৩৫); যার বাসা শহরের বেজপাড়া এলাকায়, অন্যজনের (৩৩) বাড়ি সদর উপজেলার ফতেপুরে।
আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক বিনয়কৃষ্ণ সাহা (৪২)। তিনি থাকেন শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে। একই এলাকায় বসবাসরত এক বেসরকারি ডাক্তার বাঁধনকিশোর সাহাও (৪২) আক্রান্ত হয়েছেন।
রয়েছেন যশোর শহরের কাজীপাড়া এলাকার এক ব্যবসায়ী (৫৮), আরবপুর এলাকার এক ব্যবসায়ী (৩০) ও তার স্ত্রী (২৪)। আক্রান্ত বলে আজ শনাক্তদের মধ্যে রয়েছেন র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের এক কনস্টেবল (৩০)। রয়েছেন কেশবপুর থানার এক কনস্টেবল (৩০), যার বাড়ি  সাতক্ষীরার কলারোয়ায় হলেও অবস্থান করেন কেশবপুর ডাকবাংলোয়।
আক্রান্ত হয়েছেন মণিরামপুরের এক কৃষি কর্মকর্তা (৩১), যার বাড়ি কেশবপুর। এছাড়া আক্রান্তের তালিকায় রয়েছেন যশোর শহর, অভয়নগর ও কেশবপুরের বেশ কয়েক ছাত্রী, গৃহবধূ, ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য পেশার মানুষ।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত