করোনা মহামারির মধ্যেও সারাবিশ্বে স্বামী বা সঙ্গীর হাতে নারীর শারীরিক বা যৌন নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। করোনাকালে বাংলাদেশে ২৩ শতাংশ নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
এসব ঘটনা বিশ্লেষণে বিশ্বের যেসব দেশে স্বামী বা সঙ্গীর হাতে নারী নির্যাতনের হার বেশি, সেসব দেশের তালিকায় চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীদের ৫০ শতাংশই জীবনে কখনও না কখনও সঙ্গীর হাতে শারীরিক বা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
প্রতিবেদনে আলাদাভাবে করোনা মহামারির মধ্যে সর্বশেষ ১২ মাসে স্বামী বা সঙ্গীর হাতে নারীর শারীরিক বা যৌন নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সেই তালিকাতেও বাংলাদেশের অবস্থান ১৬তম।
বিশ্বের ১৬১টি দেশ ও অঞ্চলে ২০০০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত নারী নির্যাতনের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। তাদের তথ্যমতে, বিশ্বে প্রতি তিনজন নারীর একজন জীবদ্দশায় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ৯ মার্চ জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার পক্ষে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
স্বামী অথবা সঙ্গীর হাতে নারী নির্যাতনের হার সবচেয়ে বেশি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশ কিরিবাতিতে। দরিদ্র এ দেশে ৫৩ শতাংশ নারীই এ ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন। এরপর নির্যাতনের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থান প্রশান্ত মহাসাগরীয় আরও দুটি দ্বীপদেশ ফিজি (৫২ শতাংশ) ও পাপুয়া নিউগিনির (৫১ শতাংশ)। আর বাংলাদেশ রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে, এখানে ৫০ শতাংশ নারী নির্যাতনের শিকার হন।
বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ আফগানিস্তান রয়েছে ষষ্ঠ অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষায় নারী নির্যাতনের যে চিত্র উঠে এসেছিল, তার চেয়ে অবস্থার উন্নতি হয়নি। ঘনিষ্ঠ নয়, এমন ব্যক্তিদের হাতেও শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হন নারী। অল্প বয়স থেকেই তাঁদের ওপর নির্যাতন শুরু হয়।