আজ ৩ মার্চ; বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস। বিশ্বের বন্যপ্রাণী এবং উদ্ভিদকূলের প্রতি গণসচেতনতা বাড়াতে এ দিনটিকে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৮তম অধিবেশনে আন্তর্জাতিক বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী এবং উদ্ভিদের বাণিজ্য সম্মেলনে এ দিবস ঘোষণা হয়।বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বের স্থলভাগে যত মূল্যবান ও সুন্দর বস্তু রয়েছে, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি অথৈ জলরাশি ও বনের গভীরে লুকিয়ে রয়েছে। বহু বছর ধরে আমাদের বাংলাদেশের সমুদ্র ও সুন্দরবনসহ বনগুলো ঐশ্বর্য লালন করছে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে জলজ, খনিজসম্পদ, প্রাণীকূল ও মহামূল্যবান উদ্ভিদের স্বর্গরাজ্য ‘বঙ্গোপসাগর’ এবং সুন্দরবন আমরা পেয়েছি।‘বঙ্গোপসাগর’ ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ফাইটোপ্লাঙ্কটন থেকে সর্ববৃহৎ প্রাণী নীল তিমি বিচরণ রয়েছে। এ যেন চমৎকার এক সামুদ্রিক প্রতিবেশ। আর সুন্দরবন একেবারেই অতুলনীয়।তবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ভুলের মাশুল সমুদ্রের ঐশ্বর্যের ওপর প্রভাব পড়ছে। মাছ শিকারের টুকরো উপাদান, কার্গো জাহাজগুলোর বাতিল অংশ, প্লাস্টিকের শপিং ব্যাগ, জাহাজের বর্জ্য ও তেল সমুদ্রকে দূষিত করছে। এর প্রভাবে জীববৈচিত্রের ওপর পড়ছে। তার প্রভাবে প্রভাবিত হচ্ছে মানবসভ্যতা। এছাড়া কল-কারখানার বর্জ্যসহ নানা কারণে ভারসাম্যহীনতার দিকে যাচ্ছে সামুদ্রিক প্রতিবেশ। আর সুন্দরবনে প্রাণী শিকার, বনউজাড় জলবায়ুর ওপর প্রভাব ফেলছে।তাই প্রকৃতিভিত্তিক সমাধানের মাধ্যমে মহাসাগর, সুন্দরবনসহ সব প্রজাতির বন্যপ্রাণীকে সুরক্ষিত ও রক্ষা করতে জনসাধারণ, ব্যক্তিগত ও নাগরিক সমাজকেও এগিয়ে আসতে হবে।বন্যপ্রাণী ও উদ্ভদকূল রক্ষায় আমরা এগিয়ে এলে সফলতা পাবে সমুদ্র এবং সামুদ্রিক প্রতিবেশকে রক্ষার আয়োজন। এতে বেঁচে যাবে বিপন্ন সামুদ্রিক প্রজাতি। নিয়ন্ত্রণে থাকবে ঝুঁকিপূর্ণ আবহাওয়া ও জলবায়ু।এছাড়া অনেক দেশ বাতাস, সূর্যরশ্মি, স্রোত ও ঢেউকে কাজে লাগিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির চমৎকার উৎস খোঁজে পেয়েছে। বাংলাদেশ এসব উৎস কাজে লাগাতে পারে। সমুদ্র মানুষের জীবন ও জীবিকাকে আরো উন্নত করতে পারে।