যশোরের বেনাপোল রঘুনাথপুর সীমান্ত থেকে ১১টি পিস্তল, ২২টি ম্যাগাজিন, ৫০ রাউন্ড গুলি ও ১৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। এগুলো বহন করার সময় আনারুল (৩৪), আলমগীর (৪০) ও সাজ্জাদুল (৩০) নামে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বিজিবি বলছে, তারা অস্ত্র ব্যবসায়ী। এগুলো ভারত থেকে বেনাপোলের স্থানীয় এক সন্ত্রাসীর কাছে পাঠানো হচ্ছিলো।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে ঘিবা কাঁচা রাস্তার পাশ থেকে অস্ত্রের চালানটি আটক করা হয়। আটক সাজ্জাদুল বেনাপোল পোর্ট থানার ঘিবা গ্রামের এজাবার রহমানের ছেলে, আনারুল সারবাংহুদা গ্রামের শহিদ বিশ্বাসের ছেলে এবং আলমগীর হোসেন একই গ্রামের সাবেদ বিশ্বাসের ছেলে।৪৯-বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সেলিম রেজা জানান, শার্শা উপজেলার রঘুনাথপুর বিওপিতে কর্মরত হাবিলদার সিগন্যাল মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টহল দল ভোর সাড়ে ৩টার দিকে দেখতে পান, ঘিবা সীমান্ত দিয়ে তিন ব্যক্তি বস্তা মাথায় করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে। এরপর টহল দল চ্যালেঞ্জ করলে তারা পালানোর চেষ্টা করে। বিজিবি সদস্যরা ধাওয়া করে তাদের আটক করতে সক্ষম হয়। এরপর তাদের কাছে থাকা তিনটি বস্তা তল্লাশি করে সেখান থেকে ১১টি পিস্তল, ২২টি ম্যাগজিন, ৫০ রাউন্ড গুলি এবং ১৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ১২ লাখ ১৮ হাজার টাকা। তিনি জানান, আটককৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে বিজিবিকে জানিয়েছে, বহনকৃত অস্ত্র, গুলি ও গাঁজা ভারতীয় চোরাকারবারি কোরবান আলী ও লাল্টু মিয়ার কাছ থেকে আনা হয়েছে। এসব মালামাল বেনাপোল পোর্ট থানাধীন নারায়ণপুর এলাকার সন্ত্রাসী ও মাদক সম্রাট বাদশা মিয়ার কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। প্রাথমিক তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করা হবে বলে তিনি জানান।