বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে তিনজনকে হত্যার অভিযোগে যশোর কোতয়ালি থানায় পরিবহন ও কাভার্ড ভ্যানের দুই চালকের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা হয়েছে। সোমবার শহরের নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ার মৃত সন্তোষ সাহার ছেলে আভাস সাহা ও সাতক্ষীর কালিগঞ্জের মাঘুরী গ্রামের মোনতেজ আলী মোড়লের ছেলে মফিজুল ইসলাম মামলা দুটি করেছেন। মামলায় ঢাকা মেট্রো-ট- ১৪-৬৪৪৪ ও ঢাকা মেট্রো- ব- ১২-৩০১৪ এর অপরিচিত দুই চালককে আসামি করা হয়েছে।
আভাস সাহার মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২৭ মে সোমবার সকালে বড় ভাই প্রফুল্ল্য কুমার সাহা তার কর্মস্থল ঝুমঝুমপুর বিসিক থেকে বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে জিবিবি ক্যাম্পের সামনে পৌঁছলে ঢাকা মেট্রো-ট- ১৪-৬৪৪৪ নম্বরের একটি কাভার্ড ভ্যান বেপরোয়া গতিতে এসে পেছন দিক থেকে প্রফুল্ল্য সাহাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি রাস্তার ওপর পড়ে যান। কাভার্ড ভ্যানের চালক যানটি ফেলে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত প্রফুল্ল্য সাহাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অপর দিকে মফিজুল ইসলামের অভিযোগে জানা গেছে, গত ২৬ মে সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম রাউজান থেকে সেন্টমার্টিন পরিবহন রিজার্ভ করে ৪০ জনকে নিয়ে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে রওনা দেন কালিগঞ্জের নীলকন্ঠপুর গ্রামের হাসেম আলী মোড়ল। পথিমধ্যে ২৭ মে সকালে যশোর-নড়াইল সড়কের তারাগঞ্জ গ্রামের পৌঁছলে বেপরোয়া গতির ফলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে রাস্তার খাদে পড়ে যায়। এ সময় পরিবহনের সব যাত্রী গুরুতর আহত হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর মফিজুরের খালাতো ভাই হাসেম আলী মোড়ল ও সুপারভাইজার তৌফিকুর রহমানকে চিকিসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় উভয় পরিবারের পক্ষ থেকে আলাদা এ মামলা করা হয়েছে।